নয়াদিল্লি: কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালাল দুই দুষ্কৃতী। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বুধবার পশ্চিম দিল্লির দ্বারকার এই আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা। দেখা গিয়েছে, ১৭ বছরের ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে চলে যাচ্ছে বাইক আরোহী দুই যুবক। তারপরই গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত কিশোরীকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। সে সফদরজং হাসপাতালের আইসিইউ (বার্ন ইউনিট)-তে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরই কিশোরী তীব্র যন্ত্রণায় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে এক প্রতিবেশীর কাছে ছুটে যায়। কিশোরীর চোখে মুখে জল দিয়ে তিনি অ্যাসিড ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। ডিসিপি (দ্বারকা) এম হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, মুখ তো বটেই, ওর চোখের ভিতরেও অ্যাসিড ঢুকেছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার দুই মেয়ে (১৩ ও ১৭ বছর)। স্কুলে যেতে এদিন ওরা সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পথে দুই যুবক বাইকে এসে আমার বড় মেয়ের মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়।’ সফরদরজং হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ বি এস শেরওয়াল জানিয়েছেন, ‘কিশোরীর শরীরের ৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ক্ষত কতটা গভীর, তা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পরই বোঝা যাবে।’ আক্রান্ত কিশোরীর ছোট বোনও দুই অভিযুক্তের নাম পুলিসকে জানিয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সুরে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনাও প্রশ্ন তুলেছেন, বাজারে এত সহজে অ্যাসিড পাওয়া যাচ্ছে কীভাবে? তিনি এই ঘটনা নিয়ে দিল্লির পুলিস কমিশনার সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, শিশু অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কমিশনের প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন, রাজধানীতেই যদি ওই অ্যাসিড সংগ্রহ করে থাকে দুষ্কৃতীরা, তাহলে এক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের ত্রুটি রয়েছে।