নদীয়া: নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাতভর চলল বোমাবাজি। উত্তপ্ত নগেন্দ্রনগর এলাকা। জানা গিয়েছে, এইদিন এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চলছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীনই অপর একদল তৃণমূল গোষ্ঠী সেই বাড়ির উপর হামলা চালায়। এরপরই শুরু হয় এলাকায় ব্যাপকহারে বোমাবাজি। বেশ কয়েকটি বোমা পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানায়। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। গন্ডগোল হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নদীয়া জেলার এক নেতার অনুগামীদের সঙ্গে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পলাশ দাশের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এই নিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পলাশ দাশের বক্তব্য, যার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা, সেই ব্যক্তি আমাদের সক্রিয় কর্মী। সেইজন্য সেখানে গিয়েছিলাম। অপরদিকে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা সম্রাট পাল জানান, তিনি এই ঘটনার সাথে কোনওমতেই জড়িত নন। কিছু দুষ্কৃতীকারী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এই বোমাবাজির ঘটনাকে পুজোয় ছেলেরা আনন্দ করে পটকা ফাটিয়েছেন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এদিকে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদারের বক্তব্য, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে সাধারণ মানুষ জেরবার। তবে এই দ্বন্দ্ব মেটাতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তিন দিনের নদীয়া সফরে এসেছিলেন। সেখানে তিনি বারে বারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু মাস শেষ হতে না হতেই তৃণমূলের মধ্যে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যথেষ্ট ভাবাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কারণ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে হারে বেড়ে চলেছে, তা আগামীদিনে কতটা সমাধান হবে, তা চিন্তার বিষয়। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনকে এই ঘটনায় যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের বুকে এত পরিমাণে বোমা এল কোথা থেকে, তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এমনকি পুলিশের সামনেও বোমা ফাটানো হয় বলে সূত্র মারফত খবর। তবে এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।