নবদ্বীপ: নবদ্বীপে যুবক খুনের ঘটনায় অবশেষে প্রায় আড়াই মাস পর ধরা পড়ল অভিযুক্ত মহিলা। ওই মহিলা পলাতক ছিল খুনের ঘটনার পর থেকেই। ধৃতের নাম সীমা হালদার। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বিবাহিত ওই মহিলা তার ছেলেকে নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গেই থাকত। খুনের ঘটনায় আগেই মহিলার নাবালক ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। অবশেষে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল পুলিস। এদিন ধৃতকে নবদ্বীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস জানিয়েছে, নবদ্বীপে যুবক খুনের ঘটনায় এনিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হল। মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট নবদ্বীপের মালঞ্চপাড়ার চন্দ্রকলোনির সর্দারপাড়ায় ইন্দ্রমোহন দেবনাথ ওরফে ইন্দ্রকে(৩৮) নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ভোরে ঘুমাচ্ছিলেন ইন্দ্র। সেই সময় তাঁকে গলায় কোপ মেরে খুন করা হয়। ওইদিনই অফিসঘাট রোডের বাসিন্দা মৃতের দাদা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ নবদ্বীপ থানায় সীমা হালদার ও তার ছেলে বাপন হালদারের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার দিনই নাবালক ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সে খুনের কথা স্বীকারও করে নেয়। সে জানিয়েছিল, আমাকে মারধর করেছিল। তাছাড়া আমার মায়ের সঙ্গে থাকত, ভালো লাগত না। যে কারণেই তাঁকে খুন করেছি।