হলদিবাড়ি: হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জ পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন দেওয়ানগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার দু’বছর ধরে তালাবন্ধ। বন্ধ ঘরে ধুলো জমে নষ্ট হচ্ছে কয়েকশো বই। পাঠকরাও বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অভিযোগ, গ্রন্থাগারিক থাকলেও আসেন না পাঠাগারে। যে কারণে দু’বছর ধরে পাঠাগার বন্ধ। গ্রামের একমাত্র পাঠাগার চালু করে ফের আগের অবস্থায় ফেরানোর দাবিতে সরব বাসিন্দারা। তবে বাড়ি থেকে ৯০ কিমি দূরে পাঠাগার হওয়ায় গ্রন্থাগারিক আসেন না বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৬১ সালে হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জ পঞ্চায়েতের ১৬ নম্বর জঙ্গলবসে দেওয়ানগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটিমাত্র ঘর নিয়ে রয়েছে পাঠাগারটি। রয়েছে তিন হাজারের বেশি বই। খাতায়কলমে আড়াইশো জনের মতো পাঠক। দেওয়ানগঞ্জ পঞ্চায়েত ছাড়াও হেমকুমারী ও পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতের পাঠকও একসময় পাঠাগারে নিয়মিত আসতেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০২১ সাল থেকে গ্রন্থাগারিক আসেন না। দেওয়ানগঞ্জের বাসিন্দা পাঠাগারের সদস্য সাহিন সরকার, রাকেশ রায় বলেন, আগে নিয়মিত পাঠাগারে যেতাম। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে পাঠাগারের দরজায় তালা মারা। এখন বাধ্য হয়ে মোবাইলে ম্যাগাজিন পড়ি। বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছোটন বিশ্বাস। তিনি বলেন, দু’বছর ধরে পাঠাগার বন্ধ। দ্রুত পাঠাগারটি খোলা হোক। পাশাপাশি চাকরির পরীক্ষার জন্য বই রাখার ব্যবস্থা করুক কর্তৃপক্ষ।