মস্কো: ইউক্রেনে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। সেই যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করে একের পর এক সাফল্য এনেছে পুতিনের ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার। এবার সেই রুশ সেনার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করল ওয়াগনার বাহিনী। ইতিমধ্যেই সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ায় ঢোকার কথা ঘোষণা করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। দখল করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সেনা ঘাঁটি। গন্তব্য একটাই, মস্কো। লক্ষ্য রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনা প্রধানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া। লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত যে তিনি থামবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুতিন ঘনিষ্ঠ প্রিগোজিন। রুশ সেনাকর্তাদের উদ্দেশে তাঁর হুমকি, ‘আমাদের পথে যে আসবে তাকেই ধ্বংস করে দেব। আমরা সবাই মরতে প্রস্তুত।’ ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই এই নতুন সমস্যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পুতিন সরকার। মস্কোর বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে নিারাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রিগোজিনের দাবি সত্যি হলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে ইউক্রেনে থাকা কয়েক লক্ষ রুশ সেনা। ওয়াগনারের বিদ্রোহের জেরে রসদ ও অস্ত্র সর্ববরাহের সমস্ত রাস্তা বন্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই অবস্থায় ভাড়াটে বাহিনীকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ওয়াগনার নিয়ে পুতিনের তোপ, ‘এই বিদ্রোহের জন্য ওদের কড়া শাস্তি পেতে হবে।’ ইতিমধ্যেই প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় সশস্ত্র গৃহযুদ্ধ শুরুর চেষ্টার অভিযোগ এনেছে সেদেশের জঙ্গি দমন শাখা।
শনিবার দক্ষিণ রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডন থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন প্রিগোজিন। সেখানকার রুশ সেনার সদর দপ্তরের দখল নেওয়ার দাবি জানান তিনি। শুধু তাই নয়, রুশ সেনার একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করার কথাও জানান ওয়াগনার প্রধান। এ বিষয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করেনি পুতিন প্রশাসন। এদিন রোস্তভ থেকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, ‘একটি এরোড্রোম সহ রোস্তভের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি আমাদের দখলে রয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থে আমার ২৫ হাজার সৈনিক প্রাণ দিতে প্রস্তুত। এটা কোনও সেনা অভ্যুত্থান নয়। মুক্তির উদ্দেশে যাত্রা।’







