Home District আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুট, ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচলে

আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুট, ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচলে

163
0

মালদা: আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে লুট। গভীর রাতে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচলের আশ্বিনপুর এলাকায়। আলমারি ও লকার খুলে নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী মানুয়ার হোসেন চাঁচল থানায় ডাকাতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদার চাঁচল থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রি প্রায় দুটো নাগাদ মালদহের চাঁচলের মকদুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্বিনপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মানোয়ার হোসেনের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। মধ্যরাত্রে বাড়ির নিচে রাখা বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে ছাদের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ৮-১০ জনের ডাকাত দল। এরপর মৎস্য ব্যবসায়ী মানোয়ার হোসেনের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লকার ও আলমারির চাবি বের করে ওই দুষ্কৃতী দল। চাবি পাওয়া মাত্রই আলমারি ও লকার খুলে মজুদ ৩ লক্ষ টাকা ও ছয় ভরি সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী দল। লুটপাট চালানোর পরেই মৎস্য ব্যবসায়ী মানোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত করে। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ি থেকে চারশো মিটার দূরে তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ভোর রাত্রে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মন্ডল ও চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা বিষয়টি নিয়ে চাঁচল থানায় ডাকাতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ী মানোয়ার হোসেন।

মানোয়ার হোসেন জানান, আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে একাই বাড়িতে থাকি। গতকাল মধ্যরাত্রে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে ছাদ টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল। এদের প্রত্যেকের মুখ কাপড় বাধা অবস্থায় ছিল। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আলমারি ও লকারের চাবি হাতিয়ে নিয়ে আলমারির লকার খুলে সর্বোচ্চ লুট করে পালায় দুষ্কৃতী দল। আলমারিতে আমার মজুদ ছিল তিন লক্ষ টাকা নগদ। এছাড়াও সোনার অলংকার থেকে শুরু করে যাবতীয়। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেল। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। শীতের রাত্রে এই ধরনের দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার প্রতিবেশীরা।

Previous articleবিশ্ব ইতিহাসে ১৩ জানুয়ারি
Next articleআজ সোনা রুপার বাজার দর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here