কলকাতা: উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির অনেক প্রস্তাবই বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়েছে রাজ্যের। চার বছরের উচ্চশিক্ষার বিষয়টি মেনে নেওয়া হচ্ছে। তবে, স্কুলস্তরে জাতীয় শিক্ষানীতির কোনও সুপারিশ মানছে না রাজ্য সরকার। আগের নিয়মেই হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। রাজ্যের শিক্ষানীতির খসড়ার প্রাথমিক উপস্থাপনা জমা পড়েছে নবান্নে। এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাজ্য সরকার দু’দফায় কমিটি তৈরি করেছিল শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস প্রথম কমিটির মাথায় ছিলেন। গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদকে চেয়ারম্যান করে বছরখানেক আগে গড়া হয় কমিটি। প্রকাশ্যে আসেনি আগের কমিটির সুপারিশ বা রিপোর্ট । একেবারেই শেষ পর্যায়ে এনে ফেলেছে তবে নয়া কমিটি তাদের সুপারিশ সহ রিপোর্ট । সেটি মন্ত্রিসভায় আনা হবে কয়েকটি বৈঠকের পরে । তারপর বিধানসভায় বিল আকারে পাঠানো হবে।
বর্তমান ব্যবস্থা থেকে পরিবর্তন করে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ অনুযায়ী স্কুলশিক্ষাকে ৫+৩+৩+৪ ফরম্যাটে আনতে হবে। একটিই স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরিবর্তে হবে। টানা চার বছর তার জন্য পড়াশোনা করতে হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা আর থাকবে না। রাজ্যের কমিটি এই সুপারিশ খারিজ করেছে । জাতীয় শিক্ষানীতি উচ্চশিক্ষায় তিনটি বিকল্প রাখার কথা বলেছে। একটি ইন্টিগ্রেটেড কোর্স করতে হবে চার বছরে। এক বছর পড়াশোনা করলে সেখানে মিলবে একটি সার্টিফিকেট। ডিপ্লোমা মিলবে দু’বছর পড়াশোনার পরে। একটি ডিগ্রি দেওয়া হবে তিন বছর বাদে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি ব্যাচেলর্স ডিগ্রি মিলবে চার বছরের কোর্স শেষে। প্রতিটি ধাপে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ক্রেডিট জমা হবে একটি অ্যাকাডেমিক ক্রেডিট ব্যাঙ্কে। পিএইচডি কোর্স শুরু করা যাবে চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের পরেই।