তবে যে সব সৈন্যরা ১৯৪৬ সালে নৌবিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিল, প্রধানত যাদের বিদ্রোহের কারণে ইংরেজ ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, তাঁরা আর নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজের জীবিত সৈন্যরা, যারা দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করতে আমরণ লড়াই করেছিলেন, তাঁদের যুদ্ধোপরাধী আক্ষ্যা দিয়ে স্থান দেওয়া হলোনা ভারতীয় সৈন্যবাহিনীতে। তাঁরা চরম অর্থিক দুর্দশায় বাকী জীবন কাটাতে বাধ্য হলেন।
যে দেশনেতা একদা আই.সি.এস. কথাটিকে ব্যঙ্গ করে বলতেন ওটা “ইন্ডিয়ান নয়, সিভিলও নয়, সার্ভিসও নয়”। সেই তিনিই ইংরাজ দাক্ষিণ্যে গদি দখল করে সেই আমলাতন্ত্রকেও রেখে দিলেন বহাল তবিয়তে ! ক্ষমতার লোভে ডিগবাজি খাওয়া একেই বলে!
১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের গোয়েন্দা দপ্তরের শাখা “এম ফাইভ” এর দপ্তর বয়ে গেল দিল্লিতে, ভারতীয় গোয়েন্দারা দেশের গোপনীয় নথি জমা দিত M5 দপ্তরে, সেটি চলে যেত সোজা ইংল্যান্ডে!
স্বাধীন সরকার নেতাজীর ছবি সরকারি দপ্তরে টাঙানোর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন।
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ্ যদুনাথ সরকারকে বলা হলো সরকারের কথা মতো ভারতের স্বাধীনতর ইতিহাস রচনা করতে। তিনি মিথ্যা ইতিহাস লিখতে রাজি না হলে সরকারের পদলেহনকারি ঐতিহাসিকদের দিয়ে লেখানো হলো অহিংস ভাবে পাওয়া স্বাধীনতার মিথ্যা ইতিহাস। যা আজও ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে চলেছে তাদের পাঠ্যপুস্তকে।
অনেক কটু অথচ সত্য ইতিহাসের গোপন কথা আজকের এই আনন্দময় দিনে উপস্থাপিত করলাম। যাদের খারাপ লাগলো, আমাকে অপ্রিয় সত্য বলার জন্য ক্ষমা করবেন। এসব অতীতের ভুল ভুলে, সকলে স্বাধীনতার বর্ষপূর্তি পালন করুন।
জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম্।







