Home State অপরাধ করেও ধরনা, পিছু হটলেন মমতা

অপরাধ করেও ধরনা, পিছু হটলেন মমতা

255
0

১৩ ই এপ্রিল, কলকাতা: তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা ও আইনের রক্ষাকর্তা। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচনী প্রচারে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এজন্য নির্বাচন কমিশন তাকে ২৪ ঘণ্টার একটি শাস্তি প্রদান করে। এই ২৪ ঘন্টা সময়ে তার সমস্ত নির্বাচনী প্রচার নিষেধ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সেই শাস্তি নির্দ্বিধায় মেনে নিতে রাজি নন । সেজন্য ১৩ ই এপ্রিল এই বিধিনিষেধের দিনেই তিনি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন। এই নিয়ে রাজ্য জাতীয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। বাড়তে থাকে জল্পনা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সেনাবাহিনীর আওতাধীন। তাই এখানে ধর্ণা দিতে গেলে দরকার সেনাবাহিনীর অনুমতি। কিন্তু সেনাবাহিনীর অনুমতি না পেলেও মঙ্গলবার ধরনায় বসে যান তিনি। সকাল ন’টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত তিনি ধরণা দেন। অবশেষে তিনি পিছু হটেন। তিনি অজুহাত দেন বারাসাতে তার রাজনৈতিক প্রচার আছে। সেই মতো তিনি সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।‌ বারাসাত ও রাজারহাট সহ একাধিক জায়গায় জনসভা করেন। সেই সভায় একইভাবে মোদি সরকার এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি ভোটে হেরে যাবে বুঝেই সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি অপরাধ করেও ধরনা দেওয়া যায়। প্রশ্ন উঠছে এই ধরনার নৈতিকতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে। এদিকে যে জন্য মমতার উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেই শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের গন্ডগোলের ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলও সেই ভিডিও দেখাতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি এটাও প্রমাণ হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্যই সেদিন শীতলকুচিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ করেছেন কার্যত তা ধোপে টিকল না। উল্টে রাজ্যের মানুষ তার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

Previous articleকরোনা ঠেকাতে ফের ১৫ দিনের জনতা কারফিউ মহারাষ্ট্রে
Next articleবাবাসাহেব আম্বেদকর ছিলেন আপোষহীন জাতীয়তাবাদী: জেপি নাড্ডা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here