নকশালবাড়ি: খাটালের আড়ালে বাইক লিফটিং গ্যাং। যার মাস্টার মাইন্ড কাবাড়ি ব্যবসায়ী! শনিবার রাতে নেপাল সীমন্তবর্তী নকশালবাড়িতে তিন বাইক লিফটারকে গ্রেপ্তার করার পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিস। একই সঙ্গে পুলিসের সন্দেহ, শিলিগুড়ি শহরেও অপারেশন চালিয়েছে ধৃতরা। এদের সঙ্গে নেপাল ও বাংলাদেশের বাইক পাচার সিন্ডিকেটের সংস্রব রয়েছে। গোটা বিষয়টি দার্জিলিং জেলা পুলিস ও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।
নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন নকশালবাড়ি থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় বাইক লিফটিং চক্র। ইতিমধ্যেই এই থানা এলাকা থেকে কয়েকটি বাইক চুরির অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই ঘটনাগুলি নিয়ে তদন্তে শনিবার রাতে পুলিস চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্র মারফত খবর পেয়ে রাতেই দয়ারামজোতের কাঁঠালপুলে একটি কাবাড়ির দোকানে হানা দেওয়া হয়। বাইকের যন্ত্রাংশ সহ হাতেনাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম আনবর রাজা, রোহিত চোপড়া ও মহম্মদ রাহুল। ছোট কাঁঠালপুল ও বড় কাঁঠালপুলে ধৃতদের বাড়ি। প্রথমজন কাবাড়ি ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় ও তৃতীয়জন মহিষের খাটাল চালায়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন খাটাল চালায়। তিন থেকে চারটি মহিষ রয়েছে তাদের কাছে। যার ফলে এদের কেউ সন্দেহ করত না। এদের দিয়েই বাইক লিফটিং চক্র কাবাড়ির ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করত বলে মনে হচ্ছে। নিমিষের মধ্যে চোরাই বাইকের যন্ত্রাংশ খুলে তা চালান করা হতো তিন কিমি দূরে নেপালে।
দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, নকশালবাড়িতে বেশ কয়েকটি বাইক চুরির অভিযোগ হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই এই গ্যাংকে ধরা হয়েছে। এদের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।