লখনউ: শনিবার রাতে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফকে গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তিন আততায়ী। রোমহর্ষক সেই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। আটক এই তিন ব্যক্তি অতিক খুনে মূল অভিযুক্ত লভলেশ তেওয়ারির বন্ধু। পুলিসের দাবি, লভলেশকে তারা সাংবাদিকতার পাঠ দিয়েছিল। কীভাবে ক্যামেরা করতে হয়, বুম কীভাবে ধরতে হয়—খুঁটিনাটি শেখাতে তারা লভলেশকে ‘ক্র্যাশ কোর্স’ করিয়েছিল। আতিকের এই খুনিকে ক্যামেরা কিনতেও সাহায্য করেছিল আটক ব্যক্তিরাই। তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিট অফিসাররা এদিন বান্দা স্টেশন থেকে তিনজনকে আটক করেছে। পুলিস জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত। লভলেশকে তারা ‘মিডিয়া ট্রেনিং’ দিয়েছিল।
শনিবার রাতে প্রয়াগরাজে পুলিস আতিক ও আশরফকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গুলি করে খুন করে লভলেশ তেওয়ারি, অরুণ মৌর্য ও সানি সিং নামে তিনজন। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার পর লভলেশ জয় শ্রীরাম বলে চিৎকারও করেছিল। ঘটনার পর তিন অভিযুক্তই পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মূল অভিযুক্ত লভলেশ সহ তিনজনকেই এদিন প্রয়াগরাজের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় সিট। সেখানে আতিক ও আশরফের খুনের পুনর্নির্মাণ চালায় পুলিস।
জোরকদমে তদন্তের মধ্যেই এবার আতিক আহমেদের কবরে জাতীয় পতাকা রেখে গ্রেপ্তার হলেন রাজকুমার রাজু নামে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা। শুধু আতিকের কবরে জাতীয় পতাকা রাখাই নয়, নিহত গ্যাংস্টারকে ‘শহিদ’ বলেও মন্তব্য করেছেন রাজু। আতিকের জন্য ভারতরত্নের দাবি জানানোয় রাজুকে ইতিমধ্যেই দল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনার আগে তাঁকে পুরভোটে প্রার্থীও করেছিল হাত শিবির। কিন্তু রাজুর বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিহত গ্যাংস্টারের কবরে জাতীয় পতাকা রাখায় বুধবার রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।