শিলচর: কাছাড় জেলায় তপশিলি জাতির মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য ব্যক্তি নেই বলে শিলচরের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল সংবাদ পরিবেশন করায় ক্ষুব্ধ আসাম অনুসূচিত জাতি পরিষদের কাছাড় জেলা শাখা।
রবিবার শিলচরে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে তপশিলি জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করে বৈদ্যুতিন মাধ্যম চ্যানেলের সাংবাদিক যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান পরিষদের কাছাড় জেলা শাখার কর্মকর্তারা।
এদিন পরিষদের কাছাড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সূর্য কুমার দাস, সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থ, বরিষ্ট সদস্য সুধাংশু দাস, উপদেষ্টা বিনয় কৃষ্ণ দাস, যুবনেতা রূপেশ চন্দ্র দাস ,সজল কান্তি দাস ও বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ বলেন,তপশিলি জাতির মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি নেই বলে চ্যানেলের সাংবাদিক কিভাবে বলতে পারলেন বলে প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
তাঁরা বলেন, তপশিলি সমাজ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাগরিক যথাক্রমে সুধাংশু দাস, নিবারণ চন্দ্র লস্কর, নেপাল দাস, ললিত মোহন শুক্ল্যবৈদ্য সহ আরও বিশিষ্টজনেরা মন্ত্রী-সাংসদ, বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সরকারি বিভাগ ডিসি, এডিসি, অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার রয়েছেন।
ডিলিমিটিশন হলে শিলচর লোকসভা আসন তপশিলি সংরক্ষিত হবে। এবিষয়টি সরকারি প্রক্রিয়ায় হবে। তখন শিলচর আসন থেকে নির্বাচনে তপশিলি জাতির মধ্যে যোগ্য ব্যক্তি পাওয়া যাবে না বলে সাংবাদিক যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তাঁরা ওই সাংবাদিকের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে তপশিলি জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যাথায় তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইন ১৯৮৯ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
তাঁরা আরও বলেন, কারও অঙ্গুলি হেলনে সাংবাদিক ও চ্যানেল তপশিলি জাতির বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক মন্তব্যের সংবাদ পরিবেশন করেছে। ভবিষ্যতে এধরণের সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি না করার জন্যও সর্তক করেন তাঁরা। এব্যাপারে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যাথায় শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।