কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন দশ লক্ষেরও বেশি মহিলা। নদীয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৪২টি আবেদন জমা পড়েছে নদীয়া জেলায়। তার মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১০ লক্ষ ৯০ হাজার ৬২২ জনকে। ফলে নদীয়া জেলার প্রশাসনিক কর্তারা তাঁদের টার্গেট সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে এই কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদনও অনেকটাই কমেছে পঞ্চম দফার দুয়ারে সরকারে। আগের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিগুলিতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেলেও এখন আর মহিলাদের সেই ভিড় নেই। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটাকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের এই ব্যাপক সাফল্যের প্রতিফলন ভোটবাক্সে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত ৮২১ কোটির অধিক খরচ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিগত কয়েক বছরে মহিলাদের জন্য একের পর এক দান খয়রাতির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা গ্রাম বাংলার মানুষের পকেটে কিছু নগদ টাকা ঢুকলেও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। তবে এতে গরিব মানুষের অর্থনীতির তাৎক্ষণিক সুরাহা হয়েছে। ফলে গ্রাম বাংলার মহিলারা তৃণমূলকে ভোট উজাড় করে দিয়েছেন। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এর সুবিধা পেতে পারে তৃণমূল। ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা খরচের ফলে রাজ্যের অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যাচ্ছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানারকম বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীরাও এই নিয়ে সরব হয়েছে।







