নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পর কেরালায় নদীগুলোর কূল ছাপিয়ে ওঠা ব্যাপক প্লাবনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শহর ও গ্রাম। নিহতদের মধ্যে রযেছে পাঁচ শিশু। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভেসে গেছে বহু ঘরবাড়ি। মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েছে রাজ্যের কোত্তাইয়াম জেলায়। এলাকায় তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আটকে পড়া বাস যাত্রীদের সেখান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। সবচেয়ে উপদ্রুত দুটি জেলা হল কোত্তাইয়াম এবং ইডুক্কি। কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক জায়গায় প্রাণঘাতী ধস নেমেছে। ছোট ছোট বহু গ্রাম, সংযোগকারী সেতু স্ফীত হয়ে ওঠা নদীর তোড়ে ভেসে গেছে। উদ্ধারকারী দল নিখোঁজদের সন্ধান করছে। ইডুক্কিতে একজন আর কোত্তাইয়ামে একজনের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে, সেখানে তাদের সাহায্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী পাঠানোর জন্য সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কেরালা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৮৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আট হাজারের ওপর মানুষকে খাদ্য, বিছানা ও কাপড়চোপড় দেওয়া হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও ফসল হারানো মানুষদের জন্য সরকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, কেরালার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন।