লখনউ: উত্তরপ্রদেশ পুলিসের হেফাজতে আততায়ীদের হাতে খুন হয়েছেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ। কিন্তু পলাতক আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পারভিন। আইনজীবী উমেশ পাল হত্যার পর থেকেই বেপাত্তা তিনি। গত ৫০ দিন ধরে আতিকের স্ত্রী বারবার পুলিসের চোখে ধুলো দিচ্ছেন। এবার শায়িস্তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী পুলিস। শুধু তাই নয়, শায়িস্তার বর্তমান ঠিকানাও জানা গিয়েছেবলে পুলিসের দাবি। তিনি এখন উত্তরপ্রদেশেরই ভারেতা গ্রামে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর। উমেশের হত্যার ষড়যন্ত্রে শায়িস্তাও জড়িত বলে অভিযোগ। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
শায়িস্তার সন্ধানে ভারেতা গ্রামের আশেপাশে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। এরমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন শায়িস্তার বাবা-মা। কিছুদিন আগেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিক ও শায়িস্তার সন্তান আসাদের। ছেলের শেষকৃত্যের সময় এলে শায়িস্তাকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা ছিল পুলিসের। সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। আতিকের শেষকৃত্যের সময়ও তিনি কাসরি মাসরি কবরস্থানের আশেপাশে আসেননি। ইতিমধ্যে শায়িস্তার একটি চিঠি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ওই চিঠি তিনি লিখেছিলেন। শায়িস্তা অভিযোগ করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিস তাঁর স্বামী আতিক এবং দেওর আশরাফকে খুনের পরিকল্পনা করছে। আর কাকতালীয়ভাবে পুলিসি হেফাজতে থাকার সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন আতিকরা।





