তেহরান: ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে শনিবার আরও দুই প্রতিবাদীকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল সেদেশের প্রশাসন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত নভেম্বরে বিক্ষোভের মধ্যে এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করা হয়েছে। পরে সেই অভিযোগেই গ্রেপ্তার হন মহম্মদ মেহেদি কারামি ও সৈয়দ মহম্মদ হোসেন।
ইরানের একটি আদালত দু’জনকে সর্বোচ্চ সাজা শুনিয়েছিল গত ডিসেম্বরে। মঙ্গলবার সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার সকালে তাঁদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচজন বিক্ষোভকারীকে ফাঁসি দিল সরকার। প্রশাসনের এই দমন নীতি নিয়ে সরব গোটা বিশ্ব। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতেই একের পর এক প্রতিবাদীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে, দাবি মানবাধিকার সংগঠনগুলির। গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন ২২ বছর বয়সি মাশা আমিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি হিজাব ঠিকমতো পরেননি। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই যুক্তি মেনে নেয়নি মাশার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, পুলিসি হেফাজতে মারধরের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। এরপর সমগ্র দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থামাতে কঠোর নীতি নেয় সরকারও। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সরকার বিরোধী এই আন্দোলনে।