নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে বহুদিন ধরেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় সরকার। ‘টুইটার ফাইলস’ কাণ্ড সেই সুযোগ এনে দিল। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, বাক স্বাধীনতার নামে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়াটা মানা যায় না। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘টুইটার ফাইলস থেকে প্রমাণিত যে সংস্থার পক্ষ থেকে মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হতো।’ সম্প্রতি নতুন মালিক এলন মাস্ককে টুইটারের পুরনো কর্মপদ্ধতির তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন ব্যারি ওয়াইস। আর সেই ফাঁসের কথাটি টুইট করেছেন মাস্ক স্বয়ং। সেখানেই টুইটারের পুরনো কীর্তি সামনে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি ‘টুইটার ফাইলস’ নামে চিহ্নিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গ্রাহকের অজান্তেই তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করত টুইটার। এতে ওই গ্রাহকের মতামতের রিচ কমে যেত। মতামতের গুরুত্ব, ফলোয়ার, ট্রেন্ডিংয়ের মতো বিষয়ের উপর রিচ নির্ভর করে। শুধু রিচ কমিয়ে দেওয়াই নয়, মন্তব্য পছন্দ না হলে ট্রেন্ডিং থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হতো। এমনকী গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট অন্যদের থেকে অদৃশ্য করে দেওয়া হয়েছে।
ফেইসবুক এবং টুইটারের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তার নিষ্পত্তির জন্য গত অক্টোবরে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। তাতে তিন সদস্যের গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়। এই অবস্থায় টুইটার ফাইলস সরকারের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার এবার গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি গঠনে আরও গতি আনবে। এই নিয়ে খুব শীঘ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুক্রবার চন্দ্রশেখর বলেন, ‘টুইটার ফাইলসের পরেও কি আমরা তাদের পিছনে দৌড়ব? নাকি আমরা একটি কঠোর নীতি তৈরি করব যাতে তারা সেটা মানতে বাধ্য হয়? কীভাবে কঠোর নীতি তৈরি করা যায়, তা আমাদের দেখতে হবে।’





