‘মিশন পূর্বোদয়’ এবং হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনা। উন্নয়নকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে ভারতের সর্বাঙ্গীণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই দুই পদক্ষেপ দৃঢ় সংকল্পের সাক্ষ্য হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় গত আট বছরে ৪,৭০০ কিলোমিটারের বেশি রেলপথ চালু হয়েছে এবং ৭,২৭৭ কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। এই রাজ্যগুলির উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পূর্বাঞ্চলে ৩৭টি বিশ্বমানের স্টেশন তৈরি করা হয়েছে যা ভবিষ্যতের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে বিপ্লব ঘটাবে। মালবাহী করিডর, রেলপথের ডাবলিং, ট্রিপলিং এবং নতুন লাইন, সড়ক পথের জন্য ভারতমালা এবং জলপথের জন্য সাগরমালার মতো প্রধানমন্ত্রী মোদির কল্পনা করা বহু কোটি টাকার প্রকল্পগুলি পূর্বাঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৫১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা মূল্যের অনুমোদিত প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পগুলির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। যা ২০০৯-১০ আর্থিক বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।