অমরাবতী: ভোটের আগে সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেসের। তাঁর বোন ওয়াই এস শর্মিলাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে কংগ্রেস। শর্মিলার মাধ্যমেই জগন পরিবারের অনুগামীদের দল থেকে ভাঙিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। সেই কৌশলে ইতিমধ্যেই কাজ হচ্ছে। মঙ্গলবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগন্মোহনের দলের প্রবীণ নেতা লাভু শ্রী কৃষ্ণ দেবারায়ালু। একই সঙ্গে দল ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁর সিদ্ধান্তের কথা ওয়াই এস আর কংগ্রেস প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।
শোনা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া রুখতে এবার সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে হাঁটতে চাইছে জগনের দল। সেই অঙ্কে দেবারায়ালুর নরসারপেট কেন্দ্রে এবার প্রার্থী করা হবে কোনও ওবিসি নেতাকে। দেবারায়ালুকে গুন্টুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হবে বলে জানানো হয়। এতেই বেঁকে বসেন দেবারায়ালু। নিজের নিরাপদ কেন্দ্র ছেড়ে দু’বারের টিডিপি সাংসদ জয়দেব গাল্লার মুখোমুখি হতে অনীহা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরেই দল ও সাংসদ পদে ইস্তফা। এই নিয়ে সম্প্রতি তিনজন সাংসদ জগনের হাত ছাড়লেন।
এর আগে মছলিপট্টনমের সাংসদ বালাসাউরি বল্লভনেনি রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস ছেড়ে পবন কল্যাণের দল জনসেনায় যোগ দিয়েছেন। এই দলের সঙ্গেই জগনের প্রধান রাজনৈতিক ‘শত্রু’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) জোট রয়েছে। এর আগে দল ছেড়েছিলেন কুর্নুলের সাংসদ সঞ্জীব কুমার। রাজনৈতিক মহলের খবর, অঙ্গলের সাংসদ মাগুন্তা শ্রীনিবাসালু রেড্ডি এবং নরসপুরমের সাংসদ কে রামকৃষ্ণ রাজুও ওয়াই এস আর কংগ্রেস ছাড়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। রাজুও টিডিপি বা জন সেনায়যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল লোকসভার সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার ভোট গ্রহণ করা হয়। চন্দ্রবাবুকে হারিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের তখতে বসেন জগন। লোকসভাতেও ২২টি আসন পায় জগনের দল। ইতিমধ্যে ১৭৫ আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের জন্য চারটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়াই এস আর কংগ্রেস। বিধানসভায় ৫৮টি এবং লোকসভার ১০টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।