নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউরোপিয়ান ক্লাবের বাইরে লেখা কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। এই লেখাই বিপ্লবীদের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম তখন বিপ্লবীদের আঁতুড় ঘর। মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে সশস্ত্র বিপ্লবী বাহিনী। অন্যতম সদস্য প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। দাদার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন প্রীতিলতা। মাস্টারদা ভরসা করতেন তাঁকে। মনের মধ্যে দেশমাতাকে ভালোবাসার, সাথে সাথে ইংরেজদের হাত থেকে নিজের দেশকে বাঁচানোর অভিপ্রায় ছিল তাঁর মধ্যে। ইউরোপিয়ান ক্লাব হামলা আজও ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ছেলেদের বেশে সুসজ্জিত হয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। দিনটা ছিল শনিবার, ভিতরে উল্লাস চলছে। সেই সময় গুলির আওয়াজে ক্লাবের ভেতরে থাকা ব্রিটিশদের হতচকিত করে দিয়েছিল। গুলি পাল্টা গুলির লড়াই চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। এর মাঝখানে প্রীতিলতার সঙ্গীরা সেখান থেকে চলে যান। একাকী ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করতে থাকেন প্রীতিলতা। ব্রিটিশদের গুলিতে তাঁর শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। তবুও কিন্তু কিছুতেই হার মানেন নি। পটাশিয়াম সায়ানাইড গলায় ঢেলে নিজের জীবনকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। পরের দিন ১০০ মিটার দূর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রীতিলতার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে সর্বদা।