কলকাতা: শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় প্রকাশিত হল বিজেপির ১৯৫ জনের প্রার্থী তালিকা। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২০টি আসনে প্রার্থীর নাম রয়েছে। আরামবাগের মতোই এদিনও কৃষ্ণনগরের সভাতে নারী সশক্তিকরণের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছেন মোদি। কিন্তু প্রথম দফার তালিকায় ১৯৫টি আসনের মধ্যে গোটা দেশ থেকে মাত্র ২৮ জন মহিলাকে পদ্ম প্রতীক দিয়েছেন মোদি-শাহরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী যা মাত্র ১৪ শতাংশ। সংরক্ষণ আইন অনুসারে প্রকাশিত তালিকার মধ্যে অন্তত ৫৮ জন মহিলাকে টিকিট দেওয়া যেত। বাংলার ২০ জনের মধ্যে মহিলা প্রার্থী মাত্র তিনজন। যাঁদের মধ্যে দু’জন জনপ্রতিনিধি। আরেকজন গত বিধানসভায় প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থী তালিকায় এই বৈষম্য নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরেই।
অন্যদিকে, পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতায় বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে তাবড় বিজেপি নেতাদের। কিন্তু দিল্লি থেকে প্রকাশিত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ। পাশাপাশি কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলছে রাজ্য বিজেপির একাংশ। বিজেপির ঘোষিত ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনই বর্তমান বিধায়ক। যাঁরা হলেন, মনোজ টিগ্গা, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি, গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, প্রার্থীর কি আকাল রয়েছে বিজেপির? তাই এতজন বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হল। এঁরা জিতলে ফের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন করতে হবে। ভোটের জন্য খরচ হবে জনগণের কোটি কোটি টাকা। গত বিধানসভার প্রার্থী তালিকায় যার নজির রয়েছে। দিনহাটা ও শান্তিপুরে উপ নির্বাচন করতে হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দু’টি আসন খোয়াতে হয় বিজেপিকে। ঘোষিত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা।