নয়াদিল্লি: ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে কেরলে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল)-কে ঢালাও সার্টিফিকেট দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। চলতি মার্কিন সফরে এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর দাবি, আইইউএমএল সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ। তারা বিন্দুমাত্র সাম্প্রদায়িক নয়। এই মন্তব্যের পরই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনায় সরব বিজেপি। এই ইস্যুতে শুক্রবার বিজেপিকে পাল্টা দিল কংগ্রেসও। তাদের দাবি, রাহুল গান্ধী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মহম্মদ আলি জিন্নার মুসলিম লিগের সঙ্গে তার পার্থক্য রয়েছে। জিন্নার মুসলিম লিগের প্রতি বরং বিজেপির ‘ভালোবাসা’ অনেক বেশি। পাকিস্তানে গিয়ে জিন্নার প্রশংসা করে এসেছিলেন স্বয়ং লালকৃষ্ণ আদবানি। জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো উচিত বিজেপির।
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা সুর চড়িয়ে বলছেন, জিন্নার অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের সঙ্গে কেরলের আইইউএমএল-এর মানসিকতার কোনও ফারাক নেই। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তাঁর টুইট, মহাত্মা গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলায় সরকার গড়তে মুসলিম লিগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বাংলা ভাগের জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এককভাবে দায়ী।
রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সরব হওয়ায় পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ দুবে। তাঁর টুইট, আইইউএমএল-এর সঙ্গে জিন্নার মুসলিম লিগকে এক করে দেবেন না। জিন্নার মুসলিম লিগের সঙ্গে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও হিন্দু মহাসভা জোট করে বাংলা, সিন্ধুপ্রদেশ ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে সরকার গড়েছিল। সাভারকরের দ্বিজাতি তত্ত্বকে বাস্তবের রূপ দিয়েছিল জিন্নার মুসলিম লিগ।
কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান পবন খেরার বক্তব্য, কেরলে দলের জোটসঙ্গী আইইউএমএল-এর প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ ইসমাইল গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নিজের ছেলেকে সেনাবাহিনীতে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আইইউএমএল নেতা ই আহমেদকে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে জেনিভায় পাঠিয়েছিল। কেরলের বৃহত্তম সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হল আইইউএমএল। নাগপুর পুরসভা দখলে বিজেপি তাদের সঙ্গে জোট করেছিল।