নয়াদিল্লি: সমকামী সম্পর্ক শুধুমাত্র শরীর নির্ভর নয়। এধরনের সম্পর্কের ভিত্তিও মানসিক আবেগ। এই সম্পর্ক স্থিতিশীলও বটে। সমলিঙ্গ বিয়ের আইনি বৈধতা চেয়ে দায়ের হওয়া মামলার তৃতীয় দিনের শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। একইসঙ্গে বিয়ে নিয়ে প্রচলিত ধারণার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এব্যপারে ৩৭৭ ধারার প্রসঙ্গ তুলেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। ২০১৮ সালের রায়ের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সমকামিতাকে অপরাধমুক্ত করার মাধ্যমে আমরা সমলিঙ্গের দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছি। ’ তিনি প্রশ্ন করেন, সমকামিতা অপরাধ না হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের ব্যক্তির বিয়ের মতো স্থায়ী বন্ধনে জড়ানোর ক্ষেত্রে আপত্তি কোথায়? বিয়ে দুই ভিন্ন লিঙ্গের ব্যক্তির মধ্যে হওয়াই আবশ্যিক কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনও ধারণাই নিরঙ্কুশ নয়। সমলিঙ্গে বিয়েতে শিশুর উপর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সাধারণ দাম্পত্যে যদি কোনও শিশু বাড়িতে হিংসা দেখে, তা হলে সে কি সুস্থ পরিবেশে বড় হয়ে উঠবে? যদি কোনও শিশুর বাবা মদ্যপ হন? তিনি যদি প্রতি রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করেন এবং নেশার জন্য টাকা চান? তা হলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি আধুনিক যুগের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে এখন সাধারণ দাম্পত্যে অনেকেরই একমাত্র সন্তান অথবা সন্তান নেই। তাছাড়া আমার সন্তান থাকতেই হবে, এমন ধারণা থেকেও মানুষ এখন সরে আসছেন।