Home POST EDIT সভ্যতার কলঙ্ক বলেই চিহ্নিত হবেন মদন মিত্র

সভ্যতার কলঙ্ক বলেই চিহ্নিত হবেন মদন মিত্র

109
0

শঙ্কর মণ্ডল: যত বেশি জানে, তত কম মানে। তাই যত কম জানে তত বেশি মানে। আর সেজন্য মানুষ যাতে না জানতে পারে, তার জন্যই এই রাজ্যে সর্বপ্রথম শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই টার্গেট করতে হবে। হ্যাঁ, এই টার্গেট করেই কেবল স্বজন পোষণের মাধ্যমে কেবল পার্টি করার যোগ্যতার জন্য মাস্টার মশাইয়ের চেয়ারে বসিয়ে এই রাজ্যে আধ্যাত্মিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কেবল পার্টিতন্ত্রকেই প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আর তার ফলেই একদল ডিগ্রিধারী মূর্খের সৃষ্টি হল রাজ্যজুড়ে। পরবর্তীকালে এই মূর্খরাই বিভিন্ন শিক্ষা দপ্তরের মাথা হল। তাদের দ্বারা আজ যাদের মাস্টার বানানো হল, তারা অঙ্কে শূন্য পাওয়া। অর্থাৎ সাদা খাতা জমা দেওয়া লোক যখন শিক্ষা প্রদান করে, তখন সেই ছাত্রের জানার কোনও সুযোগই থাকে না। আর এই অযোগ্য অপদার্থদের নিয়েই কেবল স্তাবক তৈরি হয়। সেই স্তাবকেরাই একদিকে যেমন শাসকদলের সম্পদে পরিণত হয়েছে, ঠিক তেমনি সুযোগ হলেই এরাই বিরোধী দলে এসে ভিড় বাড়ায়। আর দুর্ভাগ্য আমাদের এই অপদার্থদের নিয়ে উল্লসিত হয় বিরোধী দলও।

যাই হোক, আজ নবান্ন ও রাজভবন নাকি একসঙ্গে কাজ করবে। এই বিবৃতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু এই বক্তব্য কী প্রমাণ করে? রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। সংবিধান মেনেই তাঁকে কাজ করতে হয়। সে কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নয়। হ্যাঁ, তার এই পদে আসীন হওয়ার আগে যাই পরিচয় থাকুক না কেন, বরং শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকে একটা কথাই প্রমাণ করে, সেটা হল ওদের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ যাতে রাজ্যপাল না করে, তার জন্য ওরা চাপ সৃষ্টি করতে চায়। আর মদন মিত্র যেভাবে কুৎসিত বক্তব্য রাখছেন, তাতে ওঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। বলা ভালো রাজনীতি তো বটেই, সভ্যতার কলঙ্ক বলেই চিহ্নিত হবেন মদন মিত্র। আর ফিরহাদ হাকিমের সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে বক্তব্যও একটা মূর্খের বক্তব্য। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাঁর এই উপদেশ দেওয়ার আগে অন্য বিধায়ক, মন্ত্রীরা কী করবেন, সেটা পরের কথা। আগে নিজে তাঁর বেতন ছেড়ে দিয়ে দেখান।
আসলে এসব কিছুর বিরুদ্ধে অল্প হলেও এখনও বহু প্রতিবাদী আছে। কেবল উপযুক্ত সাহায্যের অভাবে ও নেতৃত্বের অভাবে এঁদের ঐক্যবদ্ধরূপ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু রাত যতই বড় হোক না কেন, ভোর ঠিক হবেই।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।

Previous articleবিশ্ব ইতিহাসে ১ মার্চ
Next articleবিশ্ব ইতিহাসে ২ মার্চ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here