দীননাথ চক্রবর্তী
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায়
শিক্ষিত বেকারের যেমন
স্বপ্নকন্যা সার্টিফিকেট
কিম্বা পলাশ ফাগুন
উত্তুরে বাতাসের পরশ বেলায়
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায় ।
অসুখ করেনি তার
ক্ষীণও হয়ে যায়নি নাড়ির স্পন্দন
গভীর দুচোখে এখন ‘স্বপ্নের নিশিপদ্ম
দু ‘ঠোঁটে তার গোলাপ পাপড়ি
বুকে বহে যায় যমুনা
কণ্ঠে নেই শুধু সুর
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায় ।
কত ঋতুকথার সাক্ষী সে
গ্রীষ্মে দখিনা বাতাস
বেল জুঁই রজনীগন্ধা কথায় কথায়
আবার বর্ষায়
বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে ভিজেছে একসাথে
শরতে কাশের সরলতায় আর শুভ্রতায়
মাটির গন্ধ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আল্পনা দিয়েছে নিজের হাতে
মায়ের উঠোনে দাওয়াই
তবুও …
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায় ।
হেমন্তের ঘাস ফড়িং এর সাথে সাথে
দিয়েছে মেলে ইচ্ছেডানা
ঘাসের ডগায় ডগায় সকালে
জ্বালিয়েছে আকাশপ্রদীপ
শিশির মুক্তো দানায় দানায়
রোদ সোহাগী শীতের ছাদে আবার
মনের মাধুরী দিয়ে তুলেছে নক্সা
ভালোবাসা কাঁথায় কাঁথায়
কখনো টবে টবে ফুটিয়েছে
ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা
ফাল্গুন চৈত্রে
কোকিলের সুরে সুরে পরস্পরে
রাঙিয়ে দিয়েছে পলাশ শিমুল আবিরে
তবুও …
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায় ।
হয়তো আবার কাজে আসবে একদিন
ঋতুকে যে আসতেই হয়
মিথ্যা সে হতে পারেনা কখনো
এটাও হয়তো কোন গেরন দূষণ
সময়ের অতিথি
সেদিন হয়তো আমি আকাশের তারা ।
হেডফোনটা এখন পড়ে থাকে
নিতান্ত অবহেলায় ।