লস এঞ্জেলস: তিনি একসময় চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রেখে পৃথিবীতে আলোড়ন তুলেছিলেন। এবার ৯৩ বছরে বিয়ে করে শোরগোল ফেলে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রাভিযানের অন্যতম নায়ক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রেখেছিলেন। নীল আর্মস্ট্রংয়ের ১৯ মিনিট পর চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখা সেই দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম এডুইন অলড্রিন। গত ২০ জানুয়ারি তিনি ৯৩ বছর পূর্ণ করেছেন। আর সেই দিনেই তিনি তাঁর প্রেমিকা অ্যানকা ফউরকে বিয়ে করলেন। শনিবার সেই ছবি ট্যুইট করেছেন অলড্রিন। আর এই মূল্যবান ট্যুইট কয়েক মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রবীণ মহাকাশচারীর বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ অনুরাগীরা। ইতিমধ্যেই এই পোস্টটিতে ২২ হাজার লাইক হয়েছে। প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ সেই ট্যুইট দেখেও নিয়েছেন।
এই নিয়ে চতুর্থ বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন এডুইন। এর আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন অলড্রিন। একাকিত্ব থেকে মুক্তির জন্যই বয়সে ৩০ বছর কম বান্ধবী অ্যানকার হাত ধরলেন তিনি। অ্যানকার বয়স এখন ৬৩ বছর। ২০১২ সালে শেষবার তাঁর ডিভোর্স হয় । তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান অ্যান্ড্রু ও জ্যানিসের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।
প্রসঙ্গত ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রাভিযানে গিয়েছিলেন অলড্রিন। সঙ্গে ছিলেন নীল আর্মস্ট্রং ও মাইকেল কলিন্স। ২০ জুলাই চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম পা রাখেন আর্মস্ট্রং। প্রায় ১৯ মিনিট পর এই বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন তাঁর সঙ্গী এডুইন ওরফে বাজ অলড্রিন। মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে দু’জন অমরত্ব লাভ করেন। চাঁদে হাঁটার অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘এর মাধ্যমে মানব সভ্যতা কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল।’ ১৯৭১ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন অলড্রিন। এরপর ১৯৯৮ সালে মহাকাশ অভিযানের সাহায্যার্থে শেয়ারপ্সেস ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
প্রেমিকা অ্যানকার সঙ্গে বিয়ে সেরে রোমাঞ্চিত অলড্রিনের টুইট, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করা কিশোর-কিশোরীদের মতো রোমাঞ্চ অনুভব করছি।’ তাঁর এই পোস্ট নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন বাজ। বিবাহের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। আপনার মতোই আমরাও রোমাঞ্চিত।’ রসিকতা করে দ্বিতীয় একজনের টুইট, ‘অভিনন্দন কলোনেল অলড্রিন। জীবন ৯৩ বছর বয়সেই শুরু হয়! আগামীর জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।’