কলকাতা: ২৯ মার্চ থেকে কার্যত পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ডাকঘরের আর্থিক লেনদেন। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য গুড ফ্রাইডে এবং রবিবারের ছুটি আছে। এমনকী, ২৮ মার্চ চেক জমা দিলে তা ভাঙানো যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় থাকছে। তবে ব্যাঙ্কগুলি কী করবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
ডাক বিভাগ জানিয়েছে, ২৯ মার্চ গুড ফ্রাইডের কারণে পোস্ট অফিস বন্ধ থাকবে। পরের দিন ৩০ মার্চ শনিবার। ওই দিন ডাকঘর খোলা থাকবে। কিন্তু যদি কেউ সেদিন চেক জমা করেন, তাহলে চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালের লেনদেন হিসেবে সেই চেক গৃহীত হবে না। চেকটি ‘ক্লিয়ার’ হতে অন্তত ২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে হবে। কারণ, ৩১ মার্চ রবিবার।
পরের দু’ দিন, অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গলবার ডাকঘর খোলা থাকলেও সাধারণ মানুষের জন্য কোনও কাউন্টার খোলা হবে না। বন্ধ থাকবে সবরকম আর্থিক লেনদেন। এই দু’দিন ডাক বিভাগের আওতায় থাকা ই-ব্যাঙ্কিং এবং মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও বন্ধ থাকবে। বন্ধ রাখা হবে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টের মধ্যে ‘সোয়াইপ ইন’ এবং ‘সোয়াইপ আউট’ পরিষেবা।
অর্থাৎ ওই দুই অ্যাকাউন্টের মধ্যের অন্তবর্তী লেনদেন করা যাবে না। তবে ডাক বিভাগের সবক’টি এটিএম চালু থাকবে। কর্মীরা বলছেন, ২৮ মার্চ পর্যন্ত ডাকঘরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। তবু কোনও গ্রাহকের চেক জমা করার থাকলে, তা আরও একটু আগেভাগে করাই ভালো। কারণ, তাঁদের অভিজ্ঞতা বলছে, আর্থিক বছরের একেবারে শেষ লগ্নে পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্কের টানাপোড়েনে কিছু ক্ষেত্রে চেক ‘ক্লিয়ার’ হতে টালবাহানা দেখা দেয়। ভুগতে হয় গ্রাহককে।