বিধাননগর, ১৮ এপ্রিল: পরনে ঢিলেঢালা প্যান্ট। দু’হাত ফাঁকা। পকেটেও কিছু নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই, সে পাচারকারী। অথচ তার কাছেই লুকনো রয়েছে সোনার বিস্কুট। নয়া কৌশলে সোনা নিয়ে আসার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল এক পাচারকারী। উরুতে সেলোটেপ জড়ানো অবস্থায় সোনা নিয়ে আসছিল সে। তার কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩৬ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট। যা লুকনোর জন্যই সে ঢিলেঢালা প্যান্ট পরেছিল। স্বরূপনগরের দোবিলা সীমান্তে এই সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। ধৃত পাচারকারীর নাম দেবাশিস দেবনাথ। সে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। ধৃতকে সোনা সহ শুল্কদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার গোয়েন্দা সূত্রে বিএসএফ জওয়ানরা খবর পান, বাংলাদেশ থেকে এ দেশে সোনা ঢুকবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জওয়ানরা এলাকায় বিশেষ অভিযান শুরু করেন। এক সময়ে জওয়ানরা দেখতে পান, এক বাইক আরোহী আমুদিয়া গ্রাম থেকে দোবিলার দিকে আসছে। কাছে আসার পর জওয়ানরা তাকে থামতে বলেন। সে ইতস্তত বোধ করে। পালানোর চেষ্টা করলে জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে। তারপর সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ব্যক্তি জওয়ানদের জানায়, ‘স্যর আমার কাছে কিছু নেই। ভয়ে পেয়েই পালাচ্ছিলাম’।
জওয়ানরা দেখেন, সত্যিই তার হাতে কিছু নেই। বাইক তল্লাশি করেও কিছু মেলেনি। প্যান্টের দু’টি পকেট ফাঁকা। তারপর ভালো করে তল্লাশি করা হলে দেখা যায়, তার উরুতে সেলোটেপ জড়ানো রয়েছে। তারমধ্যে গাঁথা রয়েছে পাঁচটি সোনার বিস্কুট। ওই বিস্কুটগুলির ওজন ৫৮১.২৭ গ্রাম। যার বর্তমান বাজারদর ৩৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৬৮ টাকা। ধৃত জেরায় জানিয়েছে, দিন পনেরো আগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা গগন তাকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে দেখা করতে বলেছিল। পরে সে তাকে পাঁচটি সোনার বিস্কুট দেয়। এই বিস্কুটগুলি সায়েস্তানগরে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। এর জন্য সে ২ হাজার টাকা পেয়েছে।