নিজস্ব সংবাদদাতা, স্বরূপনগর : একদিকে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আকণ্ঠ দুর্নীতির অভিযোগ, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলে একাধিক অভিযোগ, ক্ষোভ। এই সব বিভিন্নরকম টানা পোড়েনের মধ্যে প্রার্থীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই স্বরূপনগরে সংযুক্ত মোর্চাকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। জানা গিয়েছে, সিপিএম নেতা বিশ্বজিৎ মন্ডল পেশায় একজন আইনজীবী হওয়ায় প্রার্থী হিসেবে তিনি অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। অনেকেই তাঁকে রাজ্য আইনভার সদস্য হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেন। এরফলে স্বরূপনগর বিধানসভায় এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা খুবই প্রকট হচ্ছে। কারণ আমফান নিয়ে শাসকদলের দুর্নীতি, কাটমানি, আর পঞ্চায়েত ভোটে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় মানুষের ভিতর একটা ক্ষোভ রয়েছে। এর প্রতিফলন গত লোকসভা ভোটেই দেখা গেছে। বনগাঁ লোকসভার অধিকাংশ বিধানসভাতেই পিছিয়ে পড়ে তৃণমুল।
তবে স্বরূপনগরে বিজেপির থেকে ২৪ হাজার ভোটে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও, বিধানসভা ভোটে সমীকরণটা পাল্টাতে পারে বলে ধারণা কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদের। তাঁরা মনে করেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটের সিংহ ভাগ জোট প্রার্থী পাবেন। আবার লোকসভায় সিপিএম থেকে যে ভোটগুলো বিজেপি-তে গিয়েছিল, তার সিংহ ভাগ ভোটও ফিরে আসবে বলে আশাবাদী তাঁরা। কারণ, বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলের ভিতরে ক্ষোভ, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এই সব কারণে বাম ভোট রাম শিবির থেকে ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে স্বরূপনগরে একটা ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্বরূপনগরে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বৃন্দাবন সরকারের নাম ঘোষণা হওয়ার পর দলের একটা অংশের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে যে, চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। এমনকি তেতুলিয়াতে দলের বেশ কয়েকজন কর্মী প্রকাশ্যে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান। এপ্রসঙ্গে বৃন্দাবন সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে এসেছি। কোনও হরিনাম সংকীর্তনের দল করিনি। আইনত সবাই দেশের নাগরিক। কে চোরাকারবারি, কে সাধু তা না দেখে সবার সুখ দু:খে পাশে থাকতে চাই।’