ইদানীং সোশ্যাল নেটওয়ার্কের একটা বড় সমস্যা ‘ট্রোলিং’। আর নিঃসন্দেহে এক্ষেত্রে ট্রোলারদের সহজ টার্গেট সেলিব্রিটিরা। রণবীর সিং, অনুষ্কা শর্মা থেকে শুরু করে আলিয়া ভাট বা রণবীর কাপুর। এমনকী অমিতাভ বচ্চন— বাদ নেই কেউই। ট্রোলিংয়ের হাত থেকে পিঠ বাঁচাতে পারেননি টলিউডের তারকারাও। বড় পর্দার দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত, শ্রাবন্তী, রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে ছোট পর্দার ‘রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া, ট্রোলিংয়ের শিকার অনেকেই। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পর্যন্ত ট্রোলারদের আক্রমণ এড়াতে পারেননি।
দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চারণগত ‘সমস্যা’ বা ভোটে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছেন দেব। সাম্প্রতিক অতীতে ভোটে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করেই বারবার হোয়াটসঅ্যাপ ভরিয়েছে মিমি ও নুসরতের অসংখ্য মিম। সিনেমার দৃশ্যের ছবি পোস্ট করে তাঁদের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ট্রোলাররা। এখানেই শেষ নয়, এমনকী ভোটে জেতার পর পার্লামেন্টের সামনে ছবি তোলার জন্য মিমি-নুসরতের পোশাক নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল এই ট্রোলাররা। বিয়ে বা সম্পর্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। শ্রাবন্তীর একাধিক বিয়ে নিয়েও নানা ট্রোল হয়েছে। এমনকী সেখানে ট্রোল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি শ্রাবন্তীর ছেলেকেও। রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রীর বিয়ের সময়েও একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করা দিতিপ্রিয়া রায়কে নিয়ে একাধিক কুরুচিকর মিম ও জোকস ফোনে ফোনে ঘুরেছে। একটি গেম শোয়ের সঞ্চালক রচনা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি মিম তো প্রায়শই চোখে পড়ে।
কখনও কখনও এই সমস্ত মিম নিখাদ হাস্যরস তৈরি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে মিমগুলো হয়ে দাঁড়ায় আপত্তিকর। আর যাঁদের নিয়ে এই ট্রোলিং সেইসব তারকাদের মনের অবস্থা কী? তাঁদের জীবনে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে ট্রোলিং? বিভিন্ন সময়ে তারকাদের সঙ্গে ট্রোলিং বা মিম নিয়ে কথা বলে জানা যাচ্ছে তাঁরা আদতে এগুলোকে কোনও সমস্যা বলে মানতেই চান না। তবে, সবাই নিজেদের ট্রোলিং নিয়ে ওয়াকিবহাল। কাকে নিয়ে কীধরনের হাসি ঠাট্টা হয় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর রাখেন সবাই। কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দেন। আবার একদম কুরুচিকর কোনও মিম হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তা নিয়ে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এরকম উদাহরণও রয়েছে। আসলে দূর থেকে কাউকে আঘাত করা অনেক সহজ হয়। তাই ট্রোলারদের জানা উচিত, এই ধরনের হাসি-ঠাট্টা কখনই যাকে নিয়ে ট্রোল করা হচ্ছে সেই ব্যক্তির জীবন পাল্টাতে পারে না। তিনি কিন্তু চলেন তাঁর রুটিন মাফিক। আর ট্রোলারের দল দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েই ক্ষান্ত হন।