১৪ ই এপ্রিল, নতুন দিল্লি: গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানান, সিবিএসই দ্বাদশ ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হোক। ফের করণা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তিনি কেন্দ্র সরকারের কাছে এই আবেদন জানান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ও সচিবদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও। এই ঘোষণায় আরো জানানো হয়, দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল পর্ষদের কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। বোর্ডের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রমোশন’ দেওয়া হবে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের।দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা কবে হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ১লা জুন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
এই ঘোষণার পর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া জানান, আমাদের আবেদনে কেন্দ্র সরকার সাড়া দেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রমশ দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষেত্রবিশেষ আংশিক লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল ১৩ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, সে রাজ্যে ১৫ দিনের জনতা কারফিউ ঘোষণা করেছেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন থাকায় এই রাজ্যগুলিতে এখনই কোন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কেন্দ্র সরকার নির্বাচনের পরেই আংশিক লকডাউন ঘোষণা করবে। হয়তো দেশজুড়ে অল্প সময়ের পুরোপুরি লকডাউনও হতে পারে। ৫টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বাদে প্রায় সব রাজ্যে নির্বাচন প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। বাংলায় এখনো চার দফার নির্বাচন বাকি। আর এই নির্বাচন শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে লকডাউনের তোড়জোড়। ২রা মে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। তার আগেই পশ্চিমবঙ্গের শেষ দফা নির্বাচন শেষ হতেই এই লকডাউন এর ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।