তমলুক: তমলুকের বর্গভীমা মায়ের মন্দিরের ভোগ এবার ফুড সেফটি সার্টিফিকেট পেল। ধারাবাহিক ফুড সেফটি অডিটের পর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে মন্দিরে গিয়ে এই সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হল। এদিন দুপুরে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে ওই সার্টিফিকেট তুলে দেন। দুই অতিরিক্ত জেলাশাসকও উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক বলেন, ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে এই প্রথম বর্গভীমা মন্দিরে ভোগ নিয়ে ফুড সার্টিফিকেট প্রদান করা হল। লাগাতার নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই করার পর রাজ্য সরকারের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ থেকে শংসাপত্র প্রদান করা হল।
এদিন বর্গভীমা মাতা মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজি অধিকারী সহ অন্যান্য সদস্যদের হাতে ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তারপর জেলা প্রশাসনের অফিসাররা গোটা মন্দির প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। মন্দিরে তাঁরা মায়ের ভোগ খেয়ে ফিরে যান। ফুড সেফটি সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়ার ফলে মায়ের ভোগের গুণগত মান নিয়ে আর কোনও সংশয় থাকল না। তবে, খাদ্যসুরক্ষা বিভাগের গাইডলাইন নিয়মিত মেনে চলতে হবে। এরফলে আগামী দিনে ভোগের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি। এই মুহূর্তে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার জনের ভোগ রান্না হয়। ভোগের জন্য আগে থেকেই অর্ডার দিতে হয়। ১১০টাকায় অন্নভোগ পাওয়া যায়। আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে ৮৬৭০৩৪৫৬৮৮নম্বরে ফোন করে ভোগের অর্ডার দেওয়া যায়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কুপন সংগ্রহ করে নিতে হয়। প্রতিদিন মায়ের ভোগে দু’বেলা শোল মাছের টক দেওয়া হয়। ভক্তদের মধ্যে ভোগের চাহিদা থাকে। কিন্তু, সবসময় চাহিদামতো শোল মাছ পাওয়া যায় না। তাই মন্দির কর্তৃপক্ষ শোলের পরিবর্তে রুই, কাতলা প্রভৃতি মাছ দেন।