মিলন খামারিয়া
২২ শে নভেম্বর,পানাগর,পশ্চিম বর্ধমান। আজ থেকে শুরু হল তিন দিন ব্যাপী(২২-২৪ শে নভেম্বর)
‘সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ(দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত)’-এর প্রশিক্ষণ বর্গ। এই বর্গে অংশগ্রহণ উপস্থিত হয়েছেন সংস্কার ভারতী পশ্চিবমবঙ্গ(দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত)-এর কার্যকর্তাবৃন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন সংস্কার ভারতীর অখিল ভারতীয় সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা রায়, সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ(দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত)-এর সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্ত,অরুন শর্মা(সংস্কার ভারতীর প্রশিক্ষণ বর্গ প্রমুখ),
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-এর সঙ্ঘ চালক
সারদা প্রসাদ পাল( দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত),সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ( দক্ষিনবঙ্গ প্রান্ত)-এর সহ-সভাপতি নাট্যশিল্পী কল্লোল ভট্টাচার্য,
সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গ(দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত)-এর কার্যকরী সভাপতি
সুভাষ ভট্টাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ গোপাল কুন্ডু।
শুরুতেই সংস্কার ভারতীর ধ্যেয়গীত পরিবেশন করেন মিতালী ভট্টাচার্য। তারপর মঞ্চাসীন পদাধিকারীরা গিরিশ চন্দ্র ঘোষের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এরপর বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব কল্লোল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,”১৯৯৪ সালে আমরা নাটকের দল তৈরি করেছিলাম ‘এবং আমরা’ । নাটক চর্চার উদ্দেশ্য নিয়েই তেপান্তর নাট্যগ্রামের ভাবনা আসে। গ্রামের যুবকদের স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা ও নাটক চর্চার জন্যই গড়ে তোলা হয় এই তেপান্তর নাট্যগ্রাম। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের চর্চা করছি আমরা নাটকের মাধ্যম দিয়ে। আমাদের গ্রামেই গড়ে তুলেছি পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র ‘ব্ল্যাকবক্স থিয়েটার’। যেখানে দর্শক ও নাট্যশিল্পীদের নির্দিষ্ট স্থান পরিবর্তন করে নাটক করার ব্যবস্থা আছে।আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য নাট্যমেলা করা প্রয়োজন বলেও আমি মনে করি। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ‘গিরিশ চন্দ্র নাট্যমেলা’র আয়োজন করা হয়েছে।”
এরপর একক গীত পরিবেশন করেন অনিমা দাস মজুমদার। সংস্কার ভারতীর নতুন নাটক বাঙালি বিপ্লবী ননীবালা দেবীর জীবন কেন্দ্রীক নাটকের নামাঙ্কন প্রকাশ প্রকাশ করেন উপস্থিত সভাগতরা। নতুন নাটিকের নাম ‘ কেনো চেয়ে আছ গো মা’। এই নাটক পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আগামী দিনে মঞ্চথ করা হবে।
এই বর্গ চলবে ২৪ তারিখ, রবিবার দুপুর পর্যন্ত। সংস্কার ভারতীর আগামী দিনের কাজের পরিকল্পনা করা হবে এখান থেকেই। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ‘এবং আমরা’ এর প্রয়োজনায় এবং কল্লোল ভট্টাচার্য-এর পরিচালনায় মঞ্চথ হবে নাটক ‘একটি ভালোবাসার গল্প’।
আজকের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন তিলক সেনগুপ্ত। শান্তিমন্ত্র পাঠের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠান শেষ হয়।