কলকাতা: শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলায় ফের ভর্ৎসনার সুর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গলায়। দুর্ঘটনায় হাত-পা হারানোর পরও এক শিক্ষিকাকে বারাকপুর থেকে যেতে হয় কসবার স্কুলে। তিনি বদলির আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় কেশব অ্যাকাডেমি নামক ওই স্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাত জানতে চান বিচারপতি বসু। জবাবে রাজ্য জানায়, ১২ জন ছাত্র এবং ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন কেশব অ্যাকাডেমিতে। একথা শোনার পরই বিচারপতি জানতে চান, যদি এত কম পড়ুয়া হয়, তাহলে দু’টি স্কুলকে মার্জ কেন করে দেওয়া হচ্ছে না? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, যতক্ষণ না স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ‘শূন্য’ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ দু’টি স্কুলকে মার্জ করার নিয়ম নেই। এরপর বিরক্ত বিচারপতি বলেন, শিক্ষকদের বাড়িতে রেখে বেতন দিন। যদি ইনপুট না থাকে কত স্কুল আছে, তাহলে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এত খারাপ অবস্থা কেন? চাকরি উৎপাদনের ভাল কোম্পানি শিক্ষাদপ্তর।