নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৩ জুলাই: ভয়ংকর সঙ্কটের মুখে তৃণমূল সরকার। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। মিলেছে একাধিক হিসাব বহির্ভুত সম্পত্তি। যার মধ্যে রয়েছে শহরে ও মফস্বলে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বোলপুরে একাধিক জমি। প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকার সোনার গহনা। ২০টি দামি মোবাইল।
গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সুরে আক্রমণ করেন মমতা ও অভিষেক। ঠিক তার পরের দিন সকালেই রাজ্যের ১৩ জায়গায় হানা দেয় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৭ ঘন্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কিন্তু, তাঁর বয়ানে একাধিক অসংগতির অভিযোগে শেষমেশ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর পরিচিত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মেলে বিপুল সম্পত্তির হদিশ। এছাড়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও অপসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
এদিকে সকালে গ্রেপ্তার হওয়া পার্থ বাবুকে প্রথমে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালে। এরপর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। আদালতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় ইডি। আদালত পার্থকে দুই দিনের ইডি-র হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, জেরায় গতকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ বাবু। অবশেষে তাঁকে এখন এসএসকেএম হাসপাতালে আইসিইউ তে ভর্তি করা হয়েছে।
কিন্তু সব মিলিয়ে বেশ ভালো মতো চাপের মুখে মমতা সরকার। দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, চাকরিতে একাধিক অনিয়ম। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত করা। শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যাকে তাকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ মমতাকে বেশ কঠিন লড়াইয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।