অযোধ্যা: এই সিআরপিএফ, এই ইউপি পুলিসই অযোধ্যায় বহু অশান্তি সামলেছে। গুলি চালিয়ে, লাঠিচার্জ করে হাজার হাজার করসেবককে কতবার তাড়া করেছে। এটা তো বলাই হয়, দেশের মধ্যে অযোধ্যা ফৈজাবাদে যারা ডিউটি করেছে, তাদের কাছে যে কোনও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা বাঁ হাতের খেল। সেই নিরাপত্তা বাহিনিকে এতটা অসহায় সম্ভবত কখনও লাগেনি। কারণ একটাই। প্রাণপ্রতিষ্ঠা এবং উদ্বোধন নামক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই হাই ভোল্টেজ ইভেন্ট সমাপ্ত। নেতা, মন্ত্রী, সেলিব্রিটিরা ফিরে গিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি ভেঙে অযোধ্যা হয়ে উঠল এক নতুন তীর্থ। হাজার হাজার মানুষ মধ্যরাতে নেমে এসেছিল রাস্তায়। মঙ্গলবার কাকভোরে হাড়কঁপানো ঠান্ডার মধ্যেও মন্দিরের সামনের রাস্তা জনসমুদ্র। প্রবেশদ্বার খোলার অপেক্ষা ছিল শুধু। আছড়ে পড়ল উন্মত্ত দর্শনার্থীর স্রোত। বেলা বাড়তেই ভেঙে গেল ব্যারিকেড। রীতিমতো পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় চুরি-পকেটমারি। এককথায় চরম বিশৃঙ্খলা।