রাজস্থানে সহবাসে লিপ্ত অবস্থায় যুগলকে খুন করল তান্ত্রিক

    170
    0

    উদয়পুর: যুগলকে নজিরবিহীন খুনের ঘটনা ঘটল রাজস্থানের উদয়পুরে। খুনের আগে সহবাসে লিপ্ত যুগলের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয় আঠা। চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনায় এক তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত যুগলের নাম রাহুল মিনা (৩০) ও সনু কুনওয়ার (২৮)।

    কিন্তু, কেন এমনভাবে খুন করল ওই তান্ত্রিক। আসলে ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, ওই তান্ত্রিকের নাম ভালেশ কুমার। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে যুক্ত ওই যুগলকে জঙ্গলে নিয়ে যায় তান্ত্রিক। সেখানে তাঁদের সহবাসে লিপ্ত হতে বলে। সেসময় ভালেশ তাদের নগ্ন দেহে আঠা ঢেলে দেয়। কড়া আঠায় পরস্পর আটকে যায় যুগল। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে যুবকের গলার নলি কেটে দেয় অভিযুক্ত তান্ত্রিক। এভাবে সনুকেও ছুরি দিয়ে খুন করে সে। পুলিস জানিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ প্রথমে খুনের সঠিক কারণ উদ্ধার করতে পাইনি। তাঁদের মনে হয়েছিল, যেহেতু রাহুল ও সনু ভিন্ন জাতের, সেজন্য সম্মান রক্ষার্থে এই খুন করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু, ৫৫ বছরের ওই তান্ত্রিককে গ্রেপ্তারের পরই পর্দা ফাঁস হয়। পুলিশি জেরার মুখে খুনের আসল কারণ স্বীকার করে নেয় ভালেশ।

    পুলিস জানিয়েছে, রাহুল ও সনুর পরিবার নিয়মিত শেষনাগ ভাবজি মন্দিরে ওই তান্ত্রিকের কাছে যেত। সেই সূত্রেই তাঁদের পরিচয় হয়। ক্রমে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে রাহুল ও সনু। এদিকে তাঁরা দু’জনেই বিবাহিত। ওই মন্দিরে সাত-আট বছর ধরে রয়েছে অভিযুক্ত তান্ত্রিক। ভালেশ সনুর সঙ্গে রাহুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিল। রাহুলের স্ত্রীকে বালিশ তা জানিয়ে দেয়। তা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর চরম অশান্তি হয়। এজন্য রাহুল ও সনু ভালেশেকে ভুয়ো শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এই হুমকির পর ভালেশ ওই যুগলকে খুনের ছক কষে।

    Previous articleআফতাব খুন করে দেহ টুকরো করার কথা আগেই ভেবেছিল, একথা জানত শ্রদ্ধা
    Next articleআজ সুপ্রিম কোর্ট চালু করল আরটিআই পোর্টাল

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here