লন্ডন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ব্রিটেনের নতুন রাজা হন তাঁর পুত্র চার্লস। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন তিনি। রাজাকে অবশ্য দেশের প্রধান হিসেবে মানতে নারাজ ব্রিটেনের নাগরিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের প্রধানকে বেছে নিতে হবে। রাজতন্ত্রের অবসান হয়ে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক ব্রিটেনে।
এই লক্ষ্যেই শনিবার লন্ডনজুড়ে রাজতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হলেন বহু মানুষ। কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। কেউ আবার চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এদিন প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেয় ‘রিপাবলিক’ নামে এক সংগঠন। এদিন লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান এই সংগঠনের সদস্যরা। ট্রাফালগার স্কোয়্যারের কাছে ছ’জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন রিপাবলিকের সিইও গ্রাহাম স্মিথ।
ইতিমধ্যেই এবিষয়ে একাধিক টুইট করেছেন তাঁরা। একটি টুইটে রিপাবলিক লিখেছে, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানোর অধিকারের জন্য এত কিছু সহ্য করতে হল।’ আরেক বিক্ষোভকারীর কথায়, ‘আমাদের কখনই প্রতিবাদ করতে দেওয়া হতো না। ওরা জানত আমরা আসব। যেভাবেই হোক ওরা আমাদের আটকাতই।’ এখানেই শেষ নয়, এদিন সকালে লেস্টার স্কোয়্যার টিউব স্টেশনের কাছে আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।