নয়াদিল্লি: রেহাই মিলল না রাহুল গান্ধীর। ‘মোদি’ পদবি বিতর্কে নিম্ন আদালতের রায়ই বজায় রাখল সুরাত সেশনস কোর্ট। বিচারক রবিন পি মোগেরা বৃহস্পতিবার তাঁর ২৭ পাতার রায়ে জানিয়ে দিলেন, রাহুল গান্ধী দোষীই। ফলে তিনি যে নিম্ন আদালতের ‘দোষী সাব্যস্ত’র রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চাইছেন, তা খারিজ করা হচ্ছে।
সুরাত আদালতের এই রায় হাতে পাওয়ার পরেই অবশ্য সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাহুল গান্ধী শীঘ্র গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করতে চলেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র তথা দলের আইনজীবী এমপি অভিষেক মনু সিংভি এ ব্যাপারে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করছেন। ঠিক কবে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে, তা না জানানো হলেও সুরাত সেশনস কোর্টের রায় ছত্রে ছত্রে ভুল বলেই সিংভির দাবি।
সুরাত আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন, কোনও পরিবারের জন্য দেশের আইন আলাদা হতে পারে না। তাই গান্ধী পরিবারের মুখের উপর চপেটাঘাত হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণিকে রাহুল গান্ধী অপমান করেও ভেবেছিলেন পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। এদিনের রায়ে গোটা দেশ আনন্দিত।
এদিন সিংভি বলেন, এসব করে রাহুল গান্ধীর কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনতার ইস্যুতে তিনি ভবিষ্যতেও সরব হবেন। তবে যে যুক্তিতে রাহুল গান্ধীর ‘দোষী সাব্যস্ত’ বিষয়টিতে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। নভজ্যোৎ সিং সিধু সহ সুপ্রিম কোর্টের যেসব মামলার প্রসঙ্গ সুরাত আদালতের বিচারক তাঁর ২৭পাতার রায়ে উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলার কোনও মিলই নেই। রাহুলের আইনজীবী বলেন, কোনওভাবেই রায়ে উল্লেখিত উদাহরণের সঙ্গে এই মামলা এক নয়। তাছাড়া আইন বলে মানহানির মামলা করতে হয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিকেই। এক্ষেত্রে যদি ধরেও নেওয়া যায় যে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেবেন, তাঁর মানহানি হয়েছে, তাহলে ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদি কেন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করেননি? এমনকী ললিত মোদি বা নীরব মোদিও নন। সুরাত আদালতের রায়ে দেশের ১৩ কোটি মোদি সম্প্রদায়ের উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, কারও নাম নিয়ে কেউ কিছু বললে আদৌ কি তাঁর সমগ্র সম্প্রদায়ের মানহানি হয়? তাই সুরাত আদালতের রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।