অপর্ণা সেন, ২১ অক্টোবর: কলকাতা থেকে সাইকেল চালিয়ে আজ কন্যাকুমারী পৌঁছলেন কলকাতার যুবক পরীক্ষিত ভুঁইঞা। টানা ২৭ দিন সাইকেল চালিয়ে অতিক্রম করেছেন প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার রাস্তা। তাঁর এই সাইকেল যাত্রা নিছক শখের বশে নয়। অবিরত মৃত্তিকা দূষণ ও শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই তাঁর এই সাইক্লিং।
এর আগে এবছরের গত মার্চ মাসে ৫৪৪ কিলোমিটার সাইক্লিং করেছেন। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি , ঝিলিমিলি, মুকুটমনিপুর, বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি হয়ে আবার কলকাতা।
এবার তাঁর যাত্রাপথ অনেক দীর্ঘ। প্রায় ৫২০০ কিলোমিটার। কন্যাকুমারী থেকে মুন্নার, কোয়েম্বাটুর, ব্যাঙ্গালোরে হয়ে ফিরবেন কলকাতায়। তাঁর চলার পথে সঙ্গী সাইকেল, একটি তাঁবু আর কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
পরীক্ষিতের কথায়, “আমাদের চারপাশে ক্রমাগত ঘটে চলা অনেক কিছুই আমাদের মনে দাগ কাটে। তারমধ্যে আমাকে সব থেকে বেশি ভাবিয়ে তোলে ‘মৃত্তিকা দূষণ’ , এবং ‘শারীরিক সুস্থতা’।”
এরই মধ্যে চলার পথে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে মৃত্তিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সজাগ করেছেন। মানবদেহ কিভাবে মৃত্তিকার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সেবিষয়ে আলোকপাত করেছেন মেদিনীপুরের সবং থানার এক ছোট্ট গ্রামের এই যুবক। প্রতিনিয়ত মৃত্তিকা দূষিত হয়ে মানব সভ্যতাকে কিভাবে সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে সেবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কৃষিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে খাবারের গুণগতমান ও পুষ্টি যেভাবে কমে যাচ্ছে সেবিষয়ে সতর্ক করেছেন পরীক্ষিত। তিনি বলেছেন, “উন্নত রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে আগামীতে আমার শস্য ভান্ডার হয়তো পরিপূর্ণ থাকবে। কিন্তু, তাঁর কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। পরিবর্তে জৈব সার প্রয়োগ করে অথবা কোনও সার প্রয়োগ না করেও যে খাবার পাওয়া যায়, তাঁর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। পাশপাশি, রাসায়নিক মুক্ত দানা শস্য ও সব্জি মানুষকে দীর্ঘদিন রোগমুক্ত জীবন দেবে। অনেকদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।