মুম্বইয়ে আটক জাহাজ, মিলল পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম

    52
    0

    মুম্বইয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম সহ পাক জাহাজ আটক

    মুম্বই: বড়সড় আন্তর্জাতিক নাশকতা রাখল ভারত। পাকিস্তানে যাওয়ার পথে একটি বিস্ফোরক ভর্তি জাহান আটক। জাহাজটি চীন থেকে পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির জন্য পণ্য নিয়ে করাচি বন্দরে যাচ্ছিল একটি জাহাজ। পথে মুম্বইয়ের নব সেবা বন্দরে সেই জাহাজকে আটকে দেওয়া হল। গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা সিএমএ সিজিএম অ্যাটিলা নামে মাল্টার পতাকা লাগানো ওই জাহাজটিকে বন্দর ছাড়তে বাধা দেন। এরপর নিরাপত্তা বাহিনী জাহাজটিতে তল্লাশি চালায়। শনিবার জানানো হয়েছে, জাহাজটিতে এমন কিছু যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর আগেও চীন থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার সময় ভারতের বন্দরে সামরিক কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

    গত ২৩ জানুয়ারি জাহাজটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু হয়। অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে জাহাজ থেকে কম্পিউটার নিউমেরিকাল কন্ট্রোল (সিএনসি) মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইতালির সংস্থার তৈরি ওই যন্ত্রটি সূক্ষ হিসেব বের করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এর একটি টিম পরীক্ষা করে কার্যত নিশ্চিত, পাকিস্তানে পারমাণবিক কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্যই যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্রের জটিল যন্ত্রাংশ তৈরির জন্যও ওই সিএনসি যন্ত্র কাজে লাগতে পারে। ১৯৯৬ সাল থেকেই ওয়াসেনার চুক্তি অনুযায়ী, সিএনসি যন্ত্রটি আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অন্তর্গত। সামরিক বা সাধারণ ব্যবহারের জন্যও যন্ত্রটি আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রেও সিএনসি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

    জাহাজ থেকে বিল সহ যে সব নথি উদ্ধার হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, চীনের সাংহাইয়ের একটি সংস্থা ওই পণ্য, পাকিস্তানের শিয়ালকোটের একটি সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছিল। তবে আরও গভীরে তদন্ত করে ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানতে পেরেছে সম্ভবত ওই সব নথি ভুয়ো। আদতে ২২,১৮০ কেজি ওজনের ওই পণ্যটি চীনের অন্য একটি সংস্থা পাকিস্তানের কসমস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছে পাঠাচ্ছিল। কসমস ইঞ্জিনিয়ারিং পাকিস্তানের সেনাকে বিভিন্ন যন্ত্র সরবরাহ করে থাকে। ২০২২ সাল থেকেই সংস্থাটি ভারতের নজরে রয়েছে। ওই বছরে নব সেবা বন্দরেই ইতালিতে তৈরি থার্মোইলেকট্রিক যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল।

    Previous articleভ্যালেন্টাইন! প্রেমের টানে পলাতক ৩৫ যুগল, তালিকায় নাবালিকা, ছাত্রের হাত ধরল গৃহবধূও
    Next articleবিজেপির প্রথম দফায় ১৯৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here