Home State মমতার বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে বিজেপির সেনাপতি শুভেন্দু

মমতার বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে বিজেপির সেনাপতি শুভেন্দু

218
0

কুমার বিক্রমাদিত্য, কলকাতা: বাংলার কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। যেদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ও মমতা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এই যুদ্ধে একজন জয়ী, আরেকজন পরাজিত সৈনিক। অল্প ভোটের ব্যবধানে হলেও একসময়ের দলের সুপ্রিমোকে হারিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ নন্দীগ্রামে পরাজিত মমতা যখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে, তখন ভোট যুদ্ধে বিজয়ী শুভেন্দু বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর মনে এখন কৌতূহল- দোর্দণ্ড প্রতাপ মেদিনীপুরের এই বীর পুরুষ কে কিভাবে সামলাবেন মমতা।
শুভেন্দু তো মমতাকে আগেই নির্বাচনী প্রচারে বেগম বলে সম্বোধন করেছিলেন। আর মমতা, নাম না করলেও তাঁকে গদ্দার বলে ইঙ্গিত করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে পরস্পর যখন এরকম রণদেহি ভাবমূর্তি, তখন বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন একজন শক্তিশালী বিরোধী দলনেতা হিসেবে কিভাবে ফাইট দেবেন মমতার বিরুদ্ধে? সেসময় মমতার প্রতিক্রিয়ায় বা কেমন হতে পারে? রাজ্যের আনা বিভিন্ন বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে শুভেন্দু যখন ওয়াকআউট করবেন, কিংবা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও প্রশাসনের অপদার্থতা নিয়ে বিরোধিতা করবেন, তখন মমতার মুখের বহিঃপ্রকাশটা কেমন হতে পারে, তা এখন থেকেই অনুমান করতে চাইছে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দু তো নির্বাচনী প্রচারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। রাজ্যের কর্মসংস্থান নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তোলাবাজি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করে বিরোধিতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে রেখেছেন নিজেকে।
বিধানসভার অধিবেশন চলা কালীন এই বিরোধিতা চরম আকার নেবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এজন্য চরম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে রাজ্যে তৃতীয়বার গঠিত তৃণমূল সরকারকে। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার দেনা আছে প্রায় 5 লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রায় 3 লক্ষ কোটি টাকা দেনা করা হয়েছে মমতার জমানায়। এদিকে রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, প্রায় 2 কোটি বেকার, শিল্পের কোন দিশা নেই, কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ এখনও দেখা যাচ্ছে না। গত 10 বছরে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ খুবই সামান্য। বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের উল্লেখযোগ্য কোনো দেখা নেই। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ আজ হতাশায় ডুবে আছে। গরীব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষি ও শ্রমজীবী পরিবারের প্রধানরা কাজের আশায় তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করেছিলেন। কিন্তু, অধিকাংশ পরিবারের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা আজ কাজের কোন দিশা দেখতে পাচ্ছেন না। নিরুপায় হয়ে অনেকে ছুটছেন ভিন রাজ্যে। অনেক উচ্চশিক্ষিত ছেলে মেয়ে পেটের দায়ে জনমজুরের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে মমতাকে বিধানসভা অধিবেশনে শুভেন্দুর সামনে ঘোর বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে।

Previous articleভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল
Next articleপশ্চিমবঙ্গে 24 ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত 20,136

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here