মণিপুরে জঙ্গি হামলায় হত ২ পুলিস কমান্ডো

    44
    0

    নয়াদিল্লি: জাতি সংঘর্ষে বিধ্বস্ত মণিপুরে খুনোখুনি, হানাহানি অব্যাহত। এরইমধ্যে রাজ্যের  মায়ানমার সীমান্তবর্তী মোরে শহরে হামলা চালাল সশস্ত্র জঙ্গিরা। বুধবারেরএই ঘটনায় প্রাণ হারালেন আইআরবি (ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন)-র দুই কমান্ডো। জঙ্গিদের হামলায় প্রথমে ওয়াংখেম সোমোরজিৎ নামে মণিপুর পুলিসের এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। তিনি পশ্চিম ইম্ফলের মালোমের বাসিন্দা। আহত হন আরও কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে এদিন বিকেলে তাখেল্লামবাম সাইলেসয়োর নামে আর এক কমান্ডোর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই কমান্ডোকে চিকিৎসার জন্য এয়ারলিফ্ট করে ইম্ফলে নিয়ে আসা হয়। 

    কুকিদের বিক্ষোভের মধ্যেই এদিনের জঙ্গি হামলায় নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে মোরেতে।  গত অক্টোবরে এখানে খুন হয়েছিলেন এসডিপিও আনন্দ চন্দ্র। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনেই কুকি সম্প্রদায়ের। তাঁদের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে কুকি সম্প্রদায় সহ একাধিক সংগঠনের তরফে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়। কুকিদের দাবি, পুলিস বেছে বেছে তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিশানা করছে। মোরে থেকে অবিলম্বে রাজ্য পুলিসকে সরিয়ে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবি জানানো হয় কেন্দ্রের কাছে। যদিও মণিপুরের পুলিস বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সশস্ত্র হামলাকারীরা নিরাপত্তাকর্মীদের একটি  ট্রাককে মোরেতে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। এরপরই ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে তেংনৌপাল এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে এদিনের জঙ্গি হামলা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে জঙ্গিরা মোরের সিকিউরিটি পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ছোঁড়ে। তারপর গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিস জানিয়েছে, অস্থায়ী কমান্ডো পোস্ট লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলাও চালানো হয়। গ্রেনেড বিস্ফোরণে পোস্টের আশেপাশে থাকা গাড়িগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে অসম রাইফেলস এবং আইআরবি। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। 

    Previous articleকুলভূষণকে অপহরণ করেছিল জয়েশ আল-আদল
    Next articleবাজেটে বিমার প্রিমিয়ামে পৃথক আয়কর ছাড়ের দাবি

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here