তমলুক: কারও নাবালিকা কন্যা, কারও আবার স্ত্রী। প্রত্যেকের বয়ান কিন্তু একই—সরস্বতী ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আর ফেরেনি। এলাকায় খোঁজখবর করে জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকে ‘পলাতক’। কারও জন্য দাঁড়িয়ে ছিল সাইকেল, আবার কেউ উঠেছে মোটর বাইকে। প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার মোক্ষম প্ল্যানিং। সরস্বতী পুজো, আর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র বিরল সমাপতন। কেউ যে সন্দেহই করবে না! রাত পর্যন্ত উদ্বেগের অপেক্ষা। আর দিনের আলো ফুটতেই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের দ্বারস্থ। কেউ কেউ আবার সরাসরি থানায়। কাতর আর্জি, খুঁজে দিন। মেয়েকে… ঘরের বউকেও। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই প্রেমের টানে পলাতক নাবালিকার সংখ্যা ২৫। গৃহবধূ ও আঠারো পেরনো যুবতী আরও ১০। অর্থাৎ, প্রেমদিবসে ওই জেলাতেই বেপাত্তা ৩৫ যুগল। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের হাত ধরে ঘর পাতানোর স্বপ্নে পাড়ি দেওয়া গৃহবধূও রয়েছেন নিখোঁজ-তালিকায়।