কলকাতা: দেড় মাস পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলে গেল রাজ্যের সব স্কুল। জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের দফতর থেকে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। পঞ্চায়েত ভোটে সহযোগিতা করার নির্দেশই দেওয়া হয়েছে তাঁদের। গত ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়। গত সপ্তাহে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও পিছিয়ে যায় রাজ্য শিক্ষা দফতর।
স্কুল খোলার আগেই মিড ডে মিল পরিষেবা ও বিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গেল। এরপর জেলা শিক্ষা দফতর থেকে যে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়, তাতে প্রধানশিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। তবে এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছে বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন।
৮ জুলাই রাজ্যে একযোগে পঞ্চায়েত ভোট হবে। ভোটগণনা হবে ১১ জুলাই। তাই ভোটপর্ব পরিচালনার জন্য ২০ জুনের পর থেকেই জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসাররা। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়কে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তি অব্যাহত। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। এদিন মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রাথমিক প্রস্তাবে আদালত জানায়, ১৫ জুন মনোনয়ন পেশের দিন শুরু। ২১ জুন মনোনয়নের শেষ দিন। ২৩ জুন স্ক্রুটিনি এবং ২৬ জুন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৪ জুলাই নির্বাচন করা হোক। তবে কমিশনের বক্তব্য, আদালত নির্দেশ দিলে ১৬ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত কমিশন। সেই মতো বাড়ানো হয় সময়সীমা। আগের নির্বাচনে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এবার একদিন বাড়ানো যেতে পারে বলে দাবি কমিশনের।