স্পেশালিস্ট ওপেনার। একইসঙ্গে দক্ষ মিডিয়াম পেসার। আটের দশকে দুর্ধর্ষ পাক ক্রিকেটের অন্যতম সৈনিক মুদাস্সার নজর। পরবর্তীকালে ইনজামাম, ইউনুস খানদের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতায় খুবই হতাশ ইমরান খানের সতীর্থ। উপমহাদেশে ক্রিকেট যুদ্ধ শুরুর আগে অনেকেই বাজি ধরেছিলেন বাবর আজমদের উপর। ধারণা বদলাতে সময় লাগেনি। নক-আউটে পৌঁছতে ব্যর্থ ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। মুদাস্সারের বিশ্লেষণ, বোলিং দুর্বলতাই ভরাডুবির কারণ। প্রাক্তন অলরাউন্ডারের ব্যাখ্যা, ‘পাকিস্তান পেসারদের খুনে মানসিকতা অদৃশ্য। নাসিম শাহর না থাকাটাও বড় ফ্যাক্টর। শুধুমাত্র আফ্রিদি নির্ভর বোলিং দিয়ে বড় ম্যাচ জেতা অসম্ভব। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হলে শুরুতেই ধাক্কা দেওয়া জরুরি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভেদশক্তির অভাব বারবার প্রকট হয়েছে। স্পিন বিভাগেও বৈচিত্র্য কম। দলের চেনা সেই জোশটাই খুঁজে পেলাম না। ’ মুঠোফোনের ওপারে রীতিমতো উত্তেজিত তিনি।
পাকিস্তান ক্রিকেটের অলিগলি তাঁর নখদর্পণে। ওয়াঘার ওপারে প্রচলতি ধারণা, পালস ভালো বোঝেন মুদাস্সার। পিসিবির জন্য তাঁর বার্তা, ‘তাড়াহুড়ো করলে সমস্যার সমাধান হবে না। সবার আগে দলের ভারসাম্য ফেরানো জরুরি। মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। রাতারাতি ম্যাজিক দেখানো সম্ভব নয়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলুক পিসিবি কর্তারা।’ উল্লেখ্য, আগামী ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে যাবে পাকিস্তান। ডনের দেশে তিন টেস্টের সিরিজে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ঘাসে ভরা সবুজ পিচে কামিন্সদের চিন মিউজিকের জবাব দেওয়াটাই ব্যাটারদের অ্যাসিড টেস্ট। মুদাস্সার মনে করেন, সাময়িক ব্যাড প্যাচ কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবেন শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানরা। আলবিদা জানানোর আগে বললেন, ‘খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অজস্র উদাহরণ রয়েছে। ধৈর্য ধরুনবাবররাও নিশ্চিতভাবেই কামব্যাক করবে।’