শিলচর: ফের বেলাগাম মন্তব্য শিলচরের বিধায়কের। শিলচর চন্ডিচরণ রোড এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তীর । বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছেন চন্ডিচরণবাসী। প্রতিবাদকারীদের মাতাল বলে মন্তব্য করেছেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয়েছে সমগ্র এলাকায়। এলাকায় এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিধায়কের মন্তব্যের সমালোচনা করে জমা জলের সমস্যা শীঘ্রই সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার শ্যামল পাল, প্রশান্ত পাল, বিপ্লব পাল, সৌমেন চৌধুরী, শুক্লা দেব, বাবুল দেব, রাধা দত্ত, মাম্পি পাল। তাঁরা বলেন, বৃষ্টির মরসুমে দক্ষিণ বিলপাড় সহ বৃহত্তর এলাকা সহ আশপাশের এলাকার জল প্রবেশ করে চন্ডিচরণ রোড জমা জলে একসা হয়ে উঠে। বিগত দশ বছর ধরে চন্ডিচরণ রোড অর্থাৎ ১১,২০,২১ নং ওয়ার্ডের নাগরিকরা জমাজলে ভুগছেন। একপশলা বৃষ্টি পড়লেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না।তাঁরা বলেন, বর্তমান বেসিন বানিয়ে আরও সর্বনাশ করতে চাইছে পুরসভা। এক পশলা বৃষ্টি দিলেই সঞ্জয় মার্কেটের পশ্চিম প্রান্ত, চন্ডীচরন রোড জমা জলে ডুবে যায় । তার মধ্যে চন্ডীচরন রোডের মুখেই যদি বেসিন বানিয়ে পূর্বদিক থেকে আসা সমস্ত জল জমা করা হয়, তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসবে। ইতিমধ্যে আমরুতের পাইপ লাইন বসানোর সঙ্গে বেসিন তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়। এই খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁরা বলেন চন্ডীচরন রোডের জমা জলের সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রতিনিধিরা অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি। রাস্তার পূর্বদিকে সঞ্জয় মার্কেটের সামনে দিয়ে মাস্টার ড্রেনেজের কাজ আগে শেষ করতে হবে। ওই মাষ্টার ড্রেইন দিয়ে সমস্ত জল রাঙ্গিরখালে যেতে পারে। তাতে চন্ডীচরন রোড সহ তার আশপাশ এলাকার মানুষ জমা জলের ভোগান্তির শিকার হবেনা ।ওই কাজ শেষ করে বেসিন না বানিয়ে চন্ডীচরন রোডের নালাকে ঠিকঠাক করতে হবে । যাতে জল জমে না থাকে ।