মোরিগাঁও: বাল্যবিবাহ নিয়ে ‘অল আউট’ অভিযান অসমে। অজানা আশঙ্কায় সদ্য মা হওয়ার খুশি উড়ে গিয়েছে। ভয়ে তটস্থ গ্রামের মানুষ। মাঝরাতে হঠাৎ দরজায় কড়ানাড়ছে পুলিস। অভিযোগ পেলেই সোজা শ্রীঘরে। সেই অভিযানের ভুক্তভোগী নিমা। সদ্য মা হয়েছে সে। কিন্তু বাল্যবিবাহের অভিযোগে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিস। নিমা জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ আমাদের দরজায় টোকা পড়ে। দরজা খুলতেই দেখি পুলিস দাঁড়িয়ে। ওঁরা আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। তখন ভয়ে কাঁদছিল আমার দেড় মাসের শিশু।’ এটা শুধু নিমার কাহিনি নয়। অসমে এখন শুধুই উদ্বেগ। পুলিস কখন কার দরজায় হাজির হবে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন রেজিনা খাতুন। ভালোবেসে একটি মেয়েকে বিয়ে করে রেজিনার ছেলে। মেয়েটির বয়স ১৮ হয়নি। তাই রেজিনার ছেলেটি এখন জেলে। এদিকে পরিবারের লোকেদের গ্রেপ্তারি এড়াতে আত্মঘাতী হয়েছে কাছাড়ের এক কিশোরী। আগেই অসম সরকার বাল্যবিবাহ রুখতে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। বাল্যবিবাহের অপরাধে গত শনিবার পর্যন্ত পুলিস ২ হাজার ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হিন্দু পুরোহিত ও মুসলিম কাজি। অসম পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের তালিকায় ৮ হাজার নাম রয়েছে।