কৃষ্ণনগর: প্রথম সভায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি। বরং আবাস যোজনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরুদ্ধে। শনিবার দ্বিতীয় সভায় অবশ্য সেই ভুল করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে টাকা আটকানোর প্রসঙ্গ এড়িয়ে শান দিলেন ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির ইস্যুতেই। কৃষ্ণনগরের গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠে বিজয় সংকল্প সভায় বললেন, ‘আপনারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না, এখানে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড বানানো হয়েছিল। যে জন্মায়নি তারও কার্ড হয়েছে। যে টাকা গরিব মানুষের পাওয়ার কথা, সেই টাকা তৃণমূলের তোলাবাজরা লুট করেছে। আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে একথা বলুন।’ স্বয়ং মোদির এই মন্তব্যে স্পষ্ট, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে যথেষ্ট ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। দু’বছর ধরে এই প্রকল্পে টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। কাজ করেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত গ্রামবাংলার লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ। বারবার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েও সমাধানসূত্র না মেলায় শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রাপ্য মেটাতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে চাপ বেড়েছে মোদি সরকারের উপরে। তাই তাঁকে পাল্টা প্রচারের নিদান দিতে হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন দিদি বা ভাতিজা কারও নাম করেননি তিনি।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর গলায় এদিন শুধু তৃণমূলের দুর্নীতির কথা ছিল না। সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির জন্য নতুন টার্গেটও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার ৪২টি আসনের ৪২টিতেই পদ্মফুল ফোটাতে হবে। এইবার এনডিএ সরকার, এইবার চারশো পার। যদিও মোদির সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে বলে দাবি তৃণমূলের। এপ্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) বলেন, ‘মোটাভাই অমিত শাহ ৩৫টি আসন বলেছিলেন। মোদি ৪২ বলছেন। আসলে কুঁজোরও তো চিত হয়ে শুতে ইচ্ছে করে। ৪২ নয়, ভোটবাক্সে এবার বিজেপি ফিনিশ হয়ে যাবে। ভ্যানিশও হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর তোলা যাবতীয় অভিযোগের জবাব আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেছেন, ‘মোদির গ্যারান্টি আসলে জিরো ওয়ারেন্টি।’