কলকাতা: সিইএসসি এবার বটম অ্যাশ ব্যবহারের প্রযুক্তির পেটেন্ট পেল। প্রসঙ্গত, এই বটম অ্যাশ আর ফ্ল্যাই অ্যাশ আসলে একপ্রকার ছাই। যা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে নির্গত হয়। বটম অ্যাশ মূলত আমরা শহরাঞ্চলে বাড়ির ভিত ভরাট বা জমি উঁচু করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকি। অন্যদিকে ফ্ল্যাই অ্যাশ সিমেন্ট তৈরি থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এই দুই ধরণের অ্যাশের মধ্যে বটম অ্যাশ পরিমাণে ১৫ শতাংশ থাকে। বাকি ৮৫ শতাংশ থাকে ফ্ল্যাই অ্যাশ। ফ্ল্যাই অ্যাশের একটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে। যেটা এতদিন বটম অ্যাশের ক্ষেত্রে ততটা ছিল না।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একযোগে বটম অ্যাশ ব্যবহারের প্রযুক্তি আবিষ্কারের কৃতিত্ব দাবি করেছে সিইএসসি লিমিটেড। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নদী থেকে সংগ্রহ করা বালির সঙ্গে বটম অ্যাশের প্রচুর মিল রয়েছে। এই দুই পদার্থেরই ভৌত ও রাসায়নিক উপাদান যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ। গবেষণা থেকে সিইএসসি দাবি করেছে, এই অ্যাশ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করলে সিমেন্টের খরচ অনেক কমে যাবে। এমনকি কংক্রিটের নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বালির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।